নাগরাকাটাঃ পাশের হারে গোটা রাজ্যের নিরিখে মাধ্যমিকে ছিল দ্বিতীয় স্থান। ওই ধারা অক্ষুন্ন রেখে উচ্চ মাধ্যমিকেও তাক লাগালো ছোট্ট পাহাড়ি জেলা কালিম্পং। ৯৪.২৭ শতাংশ পাশের হারে রাজ্যে এবার কালিম্পং এর স্থান তৃতীয়। নেপালী মাধ্যমের স্কুলে গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ওই পাহাড়ী জেলার ছাত্রী স্নেহা নেপাল (ছেত্রী)। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫। সেন্ট ফিলোমেনা গার্লস হাই স্কুলের স্নেহা কালিম্পং এর প্রত্যন্ত বং-বস্তীর বাসিন্দা। তাঁর বাবা বেনয় নেপাল পেশায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষক। মা সঞ্জু ছেত্রী গৃহবধূ। অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র স্বভাবের মেয়েটি এবার কলকাতার কোন কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে পড়তে চায়। এরপর তাঁর লক্ষ্য আইনজীবী হওয়া। স্নেহার বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে নেপালী ৮৬, ইংরেজী ৯৪, ভূগোল ৯৪, ইতিহাস ৮৫, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ৯৫ ও অর্থনীতি ৯৬। কালিম্পং এর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, প্রতিটি স্কুলই ভালো ফল উপহার দিয়েছে। নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই এর অন্যতম প্রধান কারন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গেছে কালিম্পং থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছিল মোট ৩৩৭০ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী। ছাত্র (মোট ১৫৭৭ জন) ও ছাত্রীদের (মোট ১৭৯৩ জন) ক্ষেত্রে পাশের হার যথাক্রমে ৯৪.৪৮ ও ৯৪.০৯ শতাংশ। এবছরের মাধ্যমিকে কালিম্পং জেলার ৩৮ টি স্কুল থেকে পাশের হার ছিল ৯৪.১৩ শতাংশ।
কালিম্পং এর অন্যান্য যে পড়ুয়ারা ভালো ফল উপহার দিয়েছে তাঁরা হলেন সেন্ট ফিলোমেনার সাধনা রাই, নিলাম মোক্তান তামাং, জেনিফার লেপচা, দাওয়া দেম শেরপা, আরতি দাঙ্গাল, কালিম্পং গার্লস হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলের নজমিন খাতুন, রঞ্জনা প্রধান, কুমুদিনী হোমসের রিকচেন তামাং, কালিম্পং জুবিলী হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলের প্রেমিকা ছেত্রী, বাগ্রাকোট হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলের কুমুদ যাদব প্রমুখ।