দার্জিলিং: হাড় কাঁপানো শীতের কবলে দার্জিলিং। সান্দাকফুতে শুরু হয়েছে তুষারপাত। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ২ ইঞ্চি পুরু তুষারের আস্তরনে ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সকাল হতে অবশ্য আবহাওয়ার উন্নতি হয়। রোদ ওঠায় কিছুটা বরফ গলে যায়। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বুধবারও রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট দেখা যেতে পারে।
সাধারণত সান্দাকফু ও সংলগ্ন এলাকায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে তুষারপাত হয়ে থাকে। এই মরশুমে এর আগেও তুষারপাত হয়েছে এই এলাকায়। তুষারের সাদা চাদরে এলাকা ঢাকতেই খুশির প্রহর গুনছেন স্থানীয় হোমস্টে মালিক ও গাড়ি চালকরা। সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, তুষারপাত হলেই পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
সাধারণত ১১৯৩০ ফুট উচ্চতায় হিমালয়ের সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত ছোট গ্রাম সান্দাকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, এভারেস্ট, মাকালু ও লোৎসের মতো বরফাবৃত শৃঙ্গ খুব স্পষ্ট দেখা যায়। মূলত এই দৃশ্য উপভোগ করতেই ছুটে আসেন পর্যটকরা। তার উপর যদি তুষারপাতের মতো ঘটনা ঘটে যায় তাহলে তো কথাই নেই। সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন প্রধান জানান, আজ যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে তা বিগত দিনগুলোর থেকে অনেকটাই বেশি। যা আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটককে আকর্ষিত করবে বলে তাঁরা মনে করছেন। এমনিতে ঠান্ডা পড়ায় সান্দাকফুতে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকদিন হয় কমের দিকে। আজ মাত্র ৫ টি গাড়িতে ৩০ জন পর্যটক এলাকায় গিয়েছেন। তুষারপাতের কারণে ছবিটা বদলাবে বলে আশা করছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা লীলা রাই জানান মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ ৪-৫ মিনিট ধরে তুষারপাত হওয়ায় প্রায় ২ ইঞ্চি পুরু তুষারের আস্তরণ পরে যায় এলাকায়। তবে জোরালো হাওয়া থাকায় বুধবার সকাল হতেই বরফ বহুলাংশে গলে যায়। রাস্তাতে পর্যটকদের চলাচলে অসুবিধে হয়নি।