উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এই গরমে কিছুক্ষণ পরপরই জল তেষ্টা পায়। কিন্তু অতিরিক্ত জল পানও কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই প্রয়োজনের বেশি জল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বরং গরমকালে জলের পাশাপাশি ফল খেতে পারেন, যা শরীরে জলের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। সেগুলি হল-
তরমুজ– তরমুজে ৯২ শতাংশ জল আছে, যা গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটাতে পারে। তরমুজে উপস্থিত আরও পুষ্টিগুণ হার্টের নানা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
আম– বেশিরভাগ মানুষই আম খেতে পছন্দ করেন। আমে ৮৩ শতাংশ জল থাকে। এই ফলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লেবু– লেবুতে ৮৭ শতাংশ জল থাকে। শরীর হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি লেবু এনার্জি বৃদ্ধি করে। বিশেষত যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত। লেবু ত্বকের জন্যও উপকারী।
আপেল– প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে রোগব্যাধি দূরে থাকে। আপেলে ৯৬ শতাংশ জল থাকে। আপেল হার্টকে সুস্থ রাখে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আপেলে উপস্থিত ভিটামিন এবং খনিজ, দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
আনারস– আনারসে ৮৬ শতাংশ জল থাকে। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আনারসে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা হাড়ের জন্য উপকারী।
শশা– শশাতে প্রায় ৯৬ শতাংশ জল থাকে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর ডাইজেস্টিভ এনজাইম যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে জল ধরে রাখতেও শশার জুড়ি মেলা ভার।
ডাবের জল– অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনীয় জল শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হয়। ডাবের জল শরীরে এই জলের ঘাটতি পূরণ করে। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট যা এনার্জি বাড়ায়।
আখের রস– আখ বা আখের রস হল প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার। পেটের সমস্যা বা ডিহাইড্রেশনের জন্য এটি খুব উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়ন্ত শিশুরা যদি আখের রস চিবিয়ে পান করে তাহলে তার দাঁতের সমস্যা অনেকটাই লাঘব হয়।
লিচু– লিচু অসম্ভব উপকারি একটি ফল। প্রতিটি লিচুতে প্রায় ৮৪% জল থাকে যা ডি হাইড্রেশন উপশমে বিশেষ কার্যকরী। লিচুতে থাকা প্রচুর ফাইবার ও জল হজমে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।