কোচবিহার: খুদেদের স্কুলের ক্লাসের প্রতি আগ্রহী ও সৃজনশীল করে তুলতে নতুন উদ্যোগ নিল সমগ্র শিক্ষা মিশন। ক্লাসের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করতে আধুনিক পদ্ধতিতে তাদের নানা উদাহরণের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক শেখানো হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুলে বাচ্চাদের যোগাসন, জিমনাস্টিক্স, ব্রতচারী শেখাতে হবে। একইসঙ্গে সিলেবাসের বাইরেও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় ও জায়গা সম্পর্কে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করা হবে।
জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের প্রতিটি সার্কেল থেকে ৪ জন করে শিক্ষককে বেছে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে কোচবিহারে। কোচবিহার শহরের রেলগুমটি চৌপথির প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে। ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষকরা তাঁদের সার্কেলের অন্য স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট প্রোজেক্ট অফিসার সুদীপ বন্দ বলেন, ‘প্রাথমিকের খুদে পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশে ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁরা যাতে তাল মেলাতে পারেন সেই লক্ষ্যে শিক্ষকদের আমরা বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
কোচবিহার জেলায় ১৮৫৩টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জেলায় প্রাথমিকের ২৬টি সার্কেল অফিস রয়েছে। সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে প্রতিটি সার্কেল থেকে ৪ জন করে মোট ১০৪ জন শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দুটি ধাপে অর্থাৎ এঁদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষককে গত ২৮ থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫২ জন শিক্ষকের গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এই প্রশিক্ষিত ১০৪ জন শিক্ষক আবার নিজের সার্কেলের অন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
কোচবিহারে তিনদিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সুপ্রিয় পাল বলেন, ‘আমাদের শেখানো হয়েছে যে ক্লাসে বাচ্চাদের শুধুমাত্র বই-খাতা-কলম দিয়ে লেখাপড়া করানোই নয়। তার পাশাপাশি বাচ্চাদের নানা গল্প ও উদাহরণের মাধ্যমে তাদের বাংলা ও ইংরেজিতে শিখতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। যাতে তারা আনন্দে আগ্রহী হয়ে বিষয়গুলি ভালোভাবে শিখতে চায়।’ ক্লাসে পড়ানোর সময় আধুনিক বিভিন্ন মডেলের ব্যবহারও তাঁদের করতে বলা হয়েছে।