জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির(BJP) নতুন সভাপতি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই কার্যভার গ্রহণ করবেন। নতুন সভাপতি নির্বাচন ঘিরে বিজেপির অভ্যন্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বাপি গোস্বামীর বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁদের গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে কাউকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করার জন্য দলের রাজ্য স্তরে দরবার শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, জেলা সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে পরাজিত তরুণ আইনজীবী সৌজিৎ সিংহ। সৌজিৎ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, তাঁদের নেতা তরুণ। বিস্তীর্ণ জলপাইগুড়ি জেলায় সাংগঠনিক কাজে চষে বেড়াতে পারবেন তিনি।
সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন তপন রায়, অনন্ত রায় সহ বেশ কয়েকটি নাম। জানা গিয়েছে জুলাই মাসের পর থেকেই জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নতুন সভাপতির জন্য মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পাশাপাশি দলের গণসংগঠনগুলির পদাধিকারীদের পরিবর্তনও হবে। নতুন পদাধিকারীদের নামের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্য। সংঘের খুবই ঘনিষ্ঠ তিনি। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ডাঃ জয়ন্ত রায়ের জয়ের পিছনে বাপির অবদান অনেকটাই বলে সংঘ পরিবার মনে করছে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর মতামত প্রাধান্য পাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। নতুন সভাপতি নির্বাচনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাপি বলেন, ‘এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। এখানে ব্যক্তিগত মতামতের অবকাশ নেই। যিনিই দলের নতুন জেলা সভাপতি হোন, তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করব।’
সামনেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হলেও লোকসভার ফলের নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে মাল, রাজগঞ্জ এবং মেখলিগঞ্জে পিছিয়ে রয়েছে। বাপি বলেন, ‘আমাদের এই তিনটি বিধানসভা আসন উদ্ধার করতে হবে।’ দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
বাপি বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘সাংগঠনিক ক্ষেত্রে জটিল অবস্থার বিষয়ে তাঁরা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।’ তিনি আশা করেন জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি পদে যোগ্য নেতাকেই নির্বাচন করা হবে।