রায়গঞ্জ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার এসএসকেএম! বৃহস্পতিবার নার্সিং হস্টেলের শৌচাগারে মিলল রায়গঞ্জের এক ছাত্রীর মৃতদেহ। মৃতার নাম সুতপা কর্মকার। বাড়ি রায়গঞ্জের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর এলাকায়। জিএনএম নার্সিং প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সুতপা।
এদিন পুর কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা সুতপার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। তিনি জানান, পুলিশ প্রশানের তরফে তাঁর কাছে সুতপার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ফোন করে সুতপার বাবা-মা’কে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। যদিও সুতপার বাবা-মা’কে জানানো হয়েছে তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। ইতিমধ্যে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। সুতপার মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ তাঁর এলাকাও। প্রতিবেশী গৌতম মণ্ডল জানান, সুতপা খুবই ভালো মেয়ে। পরিবারটিও খুবই ভালো। দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠের প্রাক্তনী সুতপা। এই স্কুলেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। সুতপার মৃত্যুর খবরে ভারাক্রান্ত স্কুলের সবাই। তবে কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হল, আত্মহত্যা না খুন এসব নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তারও হন বেশ কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে এবার এসএসকেএমে নার্সিং ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।