মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ,আলিপুরদুয়ার: হোটেলের ফ্রিজে ‘যত্নে’ রাখা ছিল কয়েকদিনের বাসি ভাত, বিরিয়ানি, তরকারি, এমনকি পচা পনিরও! পরে সেটাই হয়তো একটু গরম করে ক্রেতাদের কাছে ‘টাটকা’ বলে বিক্রি করা হত। কিন্তু প্রশাসনের অভিযানে সে সবের ঠাঁই হল ডাস্টবিনে।
বুধবার দুপুরে ফুড সেফটি অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন হোটেলে আচমকাই অভিযান চালান মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার। এদিন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, চৌপথি ও দুর্গাবাড়ির প্রায় ১০টি হোটেলে অভিযান চলে। চৌপথি ও দুর্গাবাড়ি এলাকার হোটেলের ফ্রিজে মিলেছে, বাসি ভাত, বিরিয়ানি ও তরকারি। তা নিজে হাতে বের করে ডাস্টবিনে ফেলে দেন মহকুমা শাসক।
নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের সামনে থাকা একটি হোটেলের ফ্রিজ খুলতেই চক্ষুচড়ক গাছ প্রশাসনিক কর্তাদের। সেখানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ছিল মদের বোতল! বেআইনিভাবে কেন হোটেলে মদ বিক্রি করা হচ্ছে? প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে নিজেই মদের বোতল বের করে ফেলে দেন মহকুমা শাসক। এছাড়া মিলেছে পচা পনিরও। ওই এলাকার আরেকটি হোটেলে পচা সবজি পাওয়া গিয়েছে। সেসব ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, ওই হোটেলগুলিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হয়। বিক্রি হয় বাসি খাবার। এই গরমে বাসি-পচা খাবার খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কার্যত ছিনিমিনি খেলছেন আলিপুরদুয়ারের একাংশ হোটেল ব্যবসায়ী, বেশ কিছু ধরেই এমন অভিযোগ উঠছিল।
তারপর এদিন ফুড সেফটি অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার শহরের হোটেলগুলিতে অভিযান চালান। হোটেলে যেভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার কাজ চলছে, তা দেখে রীতিমতো বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ মহকুমা শাসক। এনিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন। সাত দিনের মধ্যে রান্নাঘরের হাল ফেরানো না হলে সংশ্লিষ্ট হোটেল সিল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মহকুমা শাসক।