উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সিকান্দরারাউ এলাকায় চলছিল ‘সৎসঙ্গ’। সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Stampede Death) হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১৬ জনের। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। । মৃতদের মধ্যে একাধিক শিশু ও মহিলা রয়েছেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরসে। এই সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা।
কে এই ভোলে বাবা? স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, একটা সময়ে গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি করতেন। ধর্মীয় বাণী প্রচারের জন্য ২৬ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছিলেন সেই চাকরি। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের এটাহ্ জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা। হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, দিল্লি-সহ গোটা ভারতে অন্য রাজ্য গুলিতেও অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর।
প্রতি মঙ্গলবার ভোলে বাবার নামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। সেখানে ভীড় জমান হাজার হাজার ভক্ত। সেখানে ভক্তদের খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়। করোনার সময়ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভোলেবাবার অনুষ্ঠানে জড়ো হতেন শয়ে শয়ে মানুষ। সেই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এই ধর্মীয় গুরুর তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর সময় ঘটে বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ব্যারিকেড ছিল। প্রচন্ড গরমে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হতেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। আর তাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের উপর দিয়েই বাইরে বেরনোর চেষ্টা করেন। তাতেই মারা গিয়েছেন শতাধিক ভক্ত।
