কলকাতা: আগামী দশদিনের মধ্যে তাঁর যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বললেন ইগর স্টিমাক। তাঁকে অপসারিত করার চিঠি হাতে পাওয়ার একদিনের মধ্যে তিনি এই সিদ্ধান্তকে অপেশাদার ও একতরফা বলে চিহ্নিত করে এআইএফএফের কার্যনির্বাহী মহাসচিব এম সত্যনারায়ণকে পাঠানো পালটা চিঠিতে জানিয়েছেন, এটা ফিফার আইন বর্হিভূতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এআইএফএফ চুক্তিভঙ্গ করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করে হুমকি দিয়েছেন, দশদিনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী পুরো বকেয়া না মেটালে তিনি ফিফার আইনি দপ্তরের দ্বারস্থ হবেন। আর সেটা হলে ৮৭ বছরের অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটবে।
জাতীয় দলের কোচ হিসাবে স্টিমাকের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত চুক্তি ছিল। প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার বেতনের হিসাবে পুরো টাকা তাঁকে দিতে ফেডারেশন বাধ্য যদি না তারা প্রমাণ করতে পারে যে স্টিমাক নিজে চুক্তিভঙ্গ করেছেন। স্টিমাকের অভিযোগ, তাঁকে অপসারণের খবর ফেডারেশন তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তাঁকে কোনওরকম ব্যাখ্যার সুযোগ না দিয়েই। স্টিমাক ওই চিঠিতে আরও লিখেছেন, টানা পাঁচ বছর তিনি এদেশে কাজ করেছেন হেড কোচ হিসাবে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কথাও শোনা হবে, এটাই তিনি আশা করেছিলেন। তাছাড়া এইধরনের খবর তাঁর চাকরির ভবিষ্যতের উপর ক্ষত তৈরি করবে। তিনি এও উল্লেখ করেছেন, তিনি অবশ্যই সরে যেতে রাজি যদি বাকিরাও তাঁদের দায় নিয়ে সরে যান।
স্টিমাক যে নিজের জন্য নয়, ভারতীয় দলের জন্যই যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিলেন, সেটাও উল্লেখ করেছেন। টানা ২০০ দিন জিপিএস ভেস্ট না থাকা, চার্টার্ড ফ্লাইটে আবুধাবি পাঠানোর ও ফিরিয়ে আনার কথা বলেও সেই কথা না রাখা, মনস্ত্বত্ত্ববিদের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর মত বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে এই চিঠিতে। আরও বহু বিষয়ে ফেডারেশনের অপেশাদারিত্ব ও কথা না রাখার বিষয়ও তুলে ধরেছেন স্টিমাক। সবমিলিয়ে এটা স্পষ্ট, কোচ তাড়িয়েই নিজেদের দায়-দায়িত্ব এবার অত সহজে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদের ঝেড়ে ফেলতে দেবেন না স্টিমাক।