মাথাভাঙ্গা: স্বামীর পৈতৃক ভিটের সামনের রাস্তায় ধর্নায় বসলেন অসুস্থ এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, মৃত স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সোমবার এই ঘটনায় মাথাভাঙ্গা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাস্তায় বসে পথচলতি সকলকে নিজের সমস্যার কথা জানান সুপর্ণা পান্ডে নামে ওই মহিলা।
বছর দুয়েক আগে মাথাভাঙ্গা মদনমোহন ঠাকুরবাড়ির সেবাইত পরিবারের সদস্য কৃষ্ণকান্ত পান্ডের (বুড়া) মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে। সুপর্ণার দুটি কিডনি বিকল। নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছে। চোখেও ঠিকমতো দেখতে পান না। সুপর্ণার অভিযোগ, অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। স্বামীর পৈতৃক জমিজমা রয়েছে। স্বামীর অংশীদারিত্বের জমি পেলে তা বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারবেন। ওই মহিলার আরও অভিযোগ, স্বামী বেঁচে থাকতেও তাঁর ভাশুর কালু নানা টালবাহানা করে জমি ভাগাভাগি করেননি। ফলে একরকম নিরুপায় হয়েই তাঁকে রাস্তায় ধর্নায় বসতে হচ্ছে। স্বামীর অংশীদারিত্ব থেকে বঞ্চিত করা হলে অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে তাঁর দাবি।
অন্যদিকে কালু বলেন, ‘ভাইয়ের স্ত্রী আমাকে কেন দোষী সাব্যস্ত করছেন তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির অংশীদার আমরা ১০ ভাইবোন। আমি সকলের বড়ও নই। তাই জমির ভাগবাঁটোয়ারার দায়িত্ব আমার নয়। আমিও চাই পৈতৃক জমির বাঁটোয়ারা হোক। ছয়–সাত মাস আগে এ বিষয়ে উদ্যোগও নিয়েছিলাম। কিন্তু সকলে একমত না হওয়ায় সমস্যা মেটেনি।’
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মাধবী চৌধুরীর বক্তব্য, ‘স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তির দাবিতে যে মহিলা এদিন ধর্নায় বসেছিলেন তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁর কাছে সংসার চালানোর পাশাপাশি চিকিৎসা করানোর টাকা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওই সম্পত্তির ওয়ারিশদের অনেকেই বাইরে থাকায় জমির ভাগবাঁটোয়ারা সম্পূর্ণ হচ্ছে না।’ তবে সমস্যার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে কাউন্সিলার আশ্বাস দিয়েছেন।