হরষিত সিংহ, মালদা: আমের জন্য বিখ্যাত মালদা (Malda)। কিন্তু এই জেলাতেই ইদানীং সফলভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টা। স্থানীয় বাজারে বিক্রিও হচ্ছে দেদার।
আম বাগানে খরচ বেশি। গাছের পরিচর্যা বেশি করতে হয়। তুলনায় মাল্টা চাষে খরচ কম। গাছের পরিচর্যারও তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতির বাসিন্দা বিবেক সাহা আম বাগান কেটে আট বিঘা জমিতে শুরু করেন মাল্টা চাষ। মালদায় তিনিই প্রথম এই চাষ শুরু করেছেন বলে খবর। কলকাতা থেকে ভালো মানের চারা এনে বসানোর প্রায় চার বছরেই সাফল্য পেয়েছেন। এখন গাছে ফল হচ্ছে। বছরে লক্ষ টাকা রোজগার হচ্ছে তাঁর। এককথায়, আমের বিকল্প হিসাবে মাল্টা চাষ করে তিনি এখন সফল।
মুসম্বির মতো দেখতে কিন্তু তুলনায় মিষ্টি এই মাল্টার বাজারে ব্যাপক চাহিদা বলে জানালেন বিবেক। তিনি বলেন, ‘আম গাছের পরিচর্যা বেশি করতে হয়। সেই তুলনায় মাল্টা চাষে পরিচর্যা অনেক কম। তাই বিকল্প চাষ হিসাবে মাল্টা চারা রোপণ করি। আম বাগান কেটে এই বাগান তৈরি করেছি। চার বছর পর থেকেই ফলন হচ্ছে। বছরে লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। এই ফলের চাষ যে কেউ করতে পারবেন।’
বিবেক জানান, মাল্টা চাষে বছরে কয়েকবার মাত্র জলসেচ দিতে হয়। কোনও রাসায়নিক সার বা অন্যকিছুর প্রয়োজন হয় না। তাই এই চাষে খরচ খুব কম। অন্যদিকে, আম চাষে পরিচর্যা প্রায় সারা বছর করতে হয়। মুকুল ফোটা থেকে আম পাকার আগে পর্যন্ত একাধিকবার স্প্রে করতে হয়। ভিটামিন প্রয়োগ করতে হয়। আবার আবহাওয়ার উপরেও আম চাষের ফলন অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই অল্প খরচে বেশি লাভবান হতে মালদার যে কোনও কৃষক এই মাল্টা চাষ বিকল্প হিসাবে শুরু করতে পারেন বলে বিবেকের বক্তব্য।
এ বিষয়ে মালদা জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, ‘বিকল্প বিভিন্ন ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে দপ্তরের তরফে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এই বছরও আমরা অন্যান্য ফল সহ মাল্টা গাছের চারা বিতরণ করব। এছাড়াও কেউ যদি বাগান করতে ইচ্ছুক থাকেন, দপ্তরে যোগাযোগ করলে তাঁদের সমস্তরকম সাহায্য করা হবে।’