কোচবিহার: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বিকল থাকায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হল রোগীদের। মোটা টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হচ্ছে রোগীদের। তবে বৃহস্পতিবার বিকালে সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এমএসভিপি সৌরদীপ রায়। তাঁর কথা, ‘সমস্যার কথা শোনার পরই সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।’
এমজেএন মেডিকেলের এক্স-রে পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ উঠছে। কখনও মূল মেশিনটিই বিকল আবার কখনও রিপোর্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ায় রোগীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। মাসখানেক আগে রিপোর্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছিল। সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এজেন্সিকে শোকজ করা হয়।
পরবর্তীতে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছিল। কিন্তু দিনকয়েক যেতে না যেতেই এক্স-রে মেশিনটিই বিগড়ে যায়। গত কয়েকদিন পরিষেবা না পেয়ে রোগীদের বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসককে দেখানো এক রোগীর পরিজন সৌম্যজিৎ রায় বললেন, ‘হাঁটুতে ব্যথার জন্য দিদিকে ডাক্তার দেখানো হল। ডাক্তারবাবু এক্স-রে করতে লিখে দিয়েছেন। কিন্তু এখান থেকে বলা হল মেশিন খারাপ। বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হবে। বাধ্য হয়ে বেসরকারি জায়গায় যাচ্ছি এক্স-রে করাতে।’
হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, পিপিই মডেলে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সেখানকার এক্স-রে পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন কমবেশি ২৫০-৩০০ জন রোগীর এক্স-রে করা হয়ে থাকে। তবে এদিন বিকালে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এক রোগীর পরিজন গোপাল সাহার কথা, ‘মেডিকেল কলেজে এক্স-রে পরিষেবার জন্য একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। একটি মেশিন খারাপ হলেই পরীক্ষার জন্য রোগীদের বেসরকারি জায়গায় যেতে হয়, এটি দুর্ভাগ্যজনক।’