উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ একজন, দুজন নয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হল একেবারে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে ঘিরে তোলপাড় গোটা বাংলা। চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীরা বলছেন, আমরা ক্লান্ত। দুর্নীতি যে কোন পর্যায়ে হয়েছে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধীরা।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, এদিন সুজনবাবু বলেন, চাকরি যাদের গিয়েছে তাদের জন্য খারাপ লাগছে। আমরা বার বার বলেছিলাম। সরকার তালিকা প্রকাশ করেনি। আমরা জেনেছিলাম ৮০ শতাংশ দুর্নীতির নিয়োগ হয়েছে। এই নির্দেশ যথাযথ। যারা প্রাথমিক শিক্ষক তারা বলতে পারছিলেন না আমরা সততার সঙ্গে চাকরি পেয়েছি। রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্য এই চাকরি বাতিল হল। এরা অন্য কাজ করতেন। খারাপ লাগছে। খারাপ লাগার দায় রাজ্য সরকারের। গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করবেন। শাসকদলের নেতারা প্রস্তুত থাকুন। এর কোনও বিকল্প ছিল না। অবিলম্বে তিন মাসের মধ্যে যোগ্যদের নিয়োগ করতে হবে।
এদিকে গোটা ঘটনায় মারাত্মক অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। উচ্চতর আদালতে আবেদন করার ব্যাপারে জোরকদমে নেমে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে এই নির্দেশকে ঘিরে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে দুর্নীতির ভূমিকম্প হচ্ছে। এবার দুর্নীতির নিরিখে গিনেস বুকে নাম তুলবে পশ্চিমবঙ্গ। এত ভয় কেন ওদের?
মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারে পরিণত করেছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফোঁপড়া করে দিয়েছে। ভাবা যায়! একেবারে ঐতিহাসিক রায় দিল আদালত। বিচারপতিকে ধন্যবাদ। সরকারকে ভাবতে হবে এবার।
তবে কার্যত গোটা বাংলাতে নাড়িয়ে দিয়েছে বিচারপতির এই রায়। দুর্নীতি কোন স্তরে হতে পারলে তবে এক সঙ্গে এক চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতে পারে আদালত তা নিয়ে চর্চা চলছে। এদিকে এতদিন ধরে যে আন্দোলনকারীরা বসে রয়েছেন রাজপথের পাশে তাঁরা এবার নতুন আশায় দিন গুনছেন। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলছেন, এই রায় আমরা মানছি না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এনিয়ে আইনগত পরামর্শ নেবে।