হিলিঃ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের চিহ্নিত জমি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের জোরাল দাবি তুলল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার দুপুরে হিলি থানার আপ্তৈর এলাকায় প্রস্তাবিত ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট প্রকল্পের জমি পরিদর্শন করেন বালুরঘাটের সাংসদ। এদিন দুপুরে হিলিতে একটি সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষা ও উত্তর পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান থেকে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের জমি পরিদর্শন করেন। ওই পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের কর্তারাও। তারপরেই দ্রুত প্রকল্পের বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন সুকান্ত।
দীর্ঘদিনের আন্দোলনের জেরে অবশেষে হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি জেলা ভূমি ক্রয় কমিটি ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ থেকে হিলি থানার আপ্তৈরে ২৫ একর জমি ক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৫ একর জমি ক্রয়ের জন্য ২১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। জমি ক্রয়ের প্রক্রিয়া তরান্বিত করছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের তরফে আপ্তৈরে চিহ্নিত জমি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জমি পরিদর্শন করে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তারপরেই হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট সংলগ্ন বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের প্রস্তাবিত হিলি রেলস্টেশনের জমিও পরিদর্শন করেন। তারপরেই প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের জোরাল দাবি তুললেন তিনি।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “হিলিতে কেন্দ্র সরকার আইসিপি তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ১০০ বিঘা জমি চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ২৫ একর অর্থাৎ ৭৫ বিঘা জমি দিচ্ছে। আইসিপির পাশেই হিলি রেলস্টেশন হবে। আগামীদিনে বাণিজ্য বৃদ্ধি হয় ও এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। তারজন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। আইসিপির ও রেলস্টেশনের জমি পরিদর্শন করলাম৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে কামারপাড়া পর্যন্ত হিলি রেল প্রকল্পের জমি হস্তান্তর করা হবে। হিলি রেলের কাজ দ্রুত হবে বলে আশা করছি। অত্যাধুনিকমানের আইসিপি স্থাপনের মাধ্যমে পরিকাঠামো বৃদ্ধি পাবে। অভিবাসন ও বৈদেশিক বাণিজ্য মসৃণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।