উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হল রাজ্যে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু নিয়ে সরাসরি আঙুল তুললেন রাজ্য সরকারের দিকে। পাল্টা ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে কাঠগড়ায় তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন সুকান্ত মজুমদার টুইটে লেখেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ করে রাজ্য সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে সুশাসন কায়েম রাখতে ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার র্যাগিংয়ের মতো অপরাধ রুখতে পারেননি। রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। ’
সুকান্তের পাল্টা জবাবে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘‘যে কোনও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাতে বিজেপির কাজ হল রাজ্য সরকারের খুঁত খুঁজে বার করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আমাদের উপর দায় চাপানোর তাড়াহুড়োয় এটা ভুলে গিয়েছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে। ফলে এটা তাঁর ব্যর্থতা।’’
প্রসঙ্গত, গত ৮ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে যান নদিয়ার বগুলা থেকে কলকাতায় পড়তে আসা স্বপ্নদীপ কুন্ডু। ১৭ বছরের পড়ুয়া বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান হাসপাতালে। তার মৃত্যুতে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। প্রশ্ন ওঠে ওই ছাত্রকে র্যাগিং করা হয়েছিল কিনা? কিংবা কেন স্বপ্নদীপকে পোশাকহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল? সুতরাং এখনও পর্যন্ত স্বপ্ননীলের মৃত্যু রহস্যে মোড়াই রয়েছে। যদিও বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মৃত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে সমবেদনা জানান। তিনি আশ্বাস দেন সঠিক তদন্ত করে সত্য সামনে আনা এবং দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি সুনিশ্চিত করা হবে। তবে সব মিলিয়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি বনাম শাসক দলের রাজনৈতিক তরজা যে চরমে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।