উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে তুলনা টেনে আনলেন অমিত শাহের ছেলের। প্রশ্ন তুললেন সুকন্যার গ্রেপ্তারি নিয়েও।
মঙ্গলবার তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচীতে বীরভূম পৌছান তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উঠে আসে গোরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের প্রসঙ্গ। অভিষেক বলেন, ”বাবুরা গোরু চোর ধরতে বেরিয়েছে। এদিকে বলছে পাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত ছিল বিএসএফ-এর। এই সীমান্ত সামলায় কে, না অমিত শাহের বিএসএফ। এত কলজের জোর আছে কি যে অমিত শাহকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে?”
অভিষেক আরও বলেন, ”গোরু পাচারের অভিযোগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি-সিবিআই। ইডি তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না, তদন্ত তদন্তের পথে চলবে। শুধু একটা কথা বলুন, অনুব্রত কন্যা সুকন্যার ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। আমিত শাহের ছেলের ৮০ হাজার গুণ সম্পত্তি বেড়েছে তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না?”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ”২০২৬ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সরকার কোনও প্রকল্পের সুবিধা দিতে রাজনৈতিক পরিচয় দেখে না। গত দুবছরে রাজ্য সরকার ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। পরিবারের প্রত্যেক মহিলাকেই এই প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে দেয় এই সরকার। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আধার-প্যান কার্ড লিঙ্ক করাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১০০০ টাকা নেয়।”
জনসংযোগ কর্মসূচির ১৫ তম দিনে বীরভূমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ বৈশাখ মুরারইয়ের সভা শুরু আগেই কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন অভিষেক। অনুব্রতহীন বীরভূমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার দিকে নজর ছিল সকলের।