গাজোল: মালদা জেলার পর্যটন মানচিত্রে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। জেলার ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধগুলির সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে সুলতানি হামাম। ইতিমধ্যেই সৌধের আশাপাশে থাকা জঞ্জাল সাফাই করে সংস্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছে মালদা জেলা প্রশাসন। নতুন বছরেই পর্যটকদের জন্য সুলতানি হামাম-এর দুয়ার উন্মুক্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।
মাসখানেক আগে আদিনা পান্ডুয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। সেই সময় ঝোপ জঙ্গলে ঢেকে থাকা সুলতানি আমলের ঐতিহাসিক এই সৌধকে পর্যটকদের সামনে আনার কথা বলেছিলেন তিনি। আদিনা ডিয়ার পার্কে প্রবেশ পথের পাশে যে পিকনিক স্পট রয়েছে, তার খুব কাছেই রয়েছে সুলতানের বিবি এবং বাঁদীদের এই স্নানাগার। এখানে যাওয়ার জন্য ছিল এক ফালি রাস্তা। কিন্তু ওখানে যে এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে তা জানেনই না সিংহভাগ পর্যটক। এবার সেই সৌধকেই পর্যটকদের সামনে আনার উদ্যোগ নিলেন জেলা শাসক। এদিন ওই জায়গায় গিয়ে দেখা গেল জোর কদমে চলছে কাজ। ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করে সৌধটি সংস্কার করার পাশপাশি চারিধারে লাগানো হচ্ছে লোহার পাইপের খাঁচা। দুই ফুটের রাস্তা চওড়া করে করা হয়েছে প্রায় ২০ ফুট।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘মালদা জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য নতুন বছরের উপহার “সুলতানি আমলের হামাম”। ঝোপ জঙ্গলে ঢাকা পড়েছিল এই ঐতিহাসিক সৌধ। আমরা সেই সৌধের সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা খরচ হতে পারে এই সৌধটি সংস্কারে। যেহেতু খুব সাবধানে করতে হবে সংস্কারের কাজ তাই বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে নতুন বছরে আমরা এটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেব। জেলার ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্রগুলি ঘুরতে আসেন যে সমস্ত পর্যটক, তারা এবার থেকে আরেকটি নতুন স্থাপত্য দেখতে পাবেন।’