কোচবিহার: মঙ্গলবার দিনভর নাটক চলল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Panchanan Barma University)। প্রায় দু’মাস বাদে নিজের দপ্তরে ঢুকলেন ‘সাসপেন্ডেড’ রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি। তবে তাঁর তালাবন্ধ দপ্তর কে খুলে দিল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে দপ্তর তালা বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিখিল চন্দ্র রায়। শুধু তাই নয়, ফেরবার সময় উপাচার্যের ব্যবহৃত গাড়িও তাঁকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। ‘সাসপেন্ডেড’ রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলির কথা, ‘আমি আজ দু’মাস পর এলাম। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আমি কাজ করছি। এখন থেকে প্রতিদিন আসব। সেরকমই নির্দেশিকা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, মাসকয়েক আগে রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়। যদিও সেই সাসপেনশনকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। এদিন রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢোকা প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, ‘আমরা তো ওই ঘরে ঢুকিনি। যিনি বসেছেন, তিনি অথবা তাঁর লোক তালা ভেঙ্গেছেন। এটা পরিস্কার। আমরা তো আর খুলে দিয়ে ওঁকে বসতে বলব না। আমি আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেবার সেটা নেব।’ উপাচার্য আরও বলেন, ‘এখনও এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। একজন মামলাকারী মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই যদি বলপূর্বক আচরণ করে থাকেন, তাহলে পুরো দায়টা তাঁর। আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় যা করবার করবে।’ এদিকে ‘সাসপেন্ডেড’ রেজিস্ট্রার দু’মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মী এবং ছাত্রদের একাংশ তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এবং শিক্ষকদের সাথে তাঁকে মিটিং করতেও দেখা গিয়েছে।