উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রাজভবনের ভিতরে ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের ছবি বুকে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নামের তালিকা মিলিয়ে মিলিয়ে রাজভবনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন।
ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’য় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার কোচবিহারে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলেন, কলকাতায় ফিরে রবিবার রাজভবনে যাবেন। সেই মতোই কলকাতা ফিরে আক্রান্তকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু। সেখানে রাজ্যপালের হাতে আক্রান্তদের ছবি সহ নামের তালিকা তুলে দেন। শুভেন্দু তাঁর দলের কর্মীদের উপর হিংসার ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন রাজ্যপালকে। দুর্গাপুজো পর্যন্ত বাংলায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, সেই আর্জিও জানান। পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে বলেছি বাংলায় গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভই আক্রান্ত। পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের রেশন কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
পরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, মোট ১০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তিনি এই হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বাংলাকে হিংসামুক্ত করব। আমি নেতাজির নামে শপথ করে বলছি, রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দের নামে শপথ করে বলছি, শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’’
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ জানাতে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। তার পরই ‘আক্রান্ত’দের থাকার ব্যবস্থা করা হয় মাহেশ্বরী ভবনে। সেখানে যান রাজ্যপালও। কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলবও করেছেন। তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এটা সংবিধান বিরোধী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। আমি কিন্তু চুপ করে থাকব না। আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে তাঁদের আটকানো উচিত নয়। এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’