কলকাতা: রাজ্যটা চোরেদের হাতে যাওয়ার জন্য কার্তিক, গণেশপুজো নিয়ে এখন মাতামাতি বঙ্গে। মা যদি ডাকাত হন, তাহলে তাঁর সন্তানসন্ততিরা তো চোর হবেই। কলকাতার উলটোডাঙায় একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) মঙ্গলবার এই মন্তব্যে করেন। হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে এই ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের মানসিক ভারসাম্য নিয়েই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজা বসন্ত রায়ের পরিবারের বিদূষী মহিলা পুরীপ্রিয়া তাঁর একটি গবেষণাধর্মী বইয়ে দাবি করেছেন, হিন্দু দেবতাদের মধ্যেও চৌর্যবৃত্তি ছিল। কার্তিক, গণেশের মধ্যেও সেই চৌর্যবৃত্তির প্রকাশ দেখা গিয়েছে। পুরীপ্রিয়ার এই দাবির সমর্থনে বিকাশ বলেন, ‘মানুষই দেবতা সৃষ্টি করেছে। দেবতা মানুষেরই প্রতিবিম্ব। তাই মানুষের সব খারাপ গুণ দেবতাদের মধ্যে থাকাই স্বাভাবিক। শাসকদলের সৌজন্যে রাজ্যটা চোরেদের দখলে চলে গিয়েছে। তাই ইদানীং কার্তিক, গণেশপুজোর এত দহরম-মহরম। সমাজে ডাকাতে কালীর পুজোর চল রয়েছে। মা যদি ডাকাত হন,তাহলে তার সন্তানসন্ততিরাও চোর হবে। এটাই স্বাভাবিক।’ বিকাশের দাবি, ‘পৃথিবীর কোনও গ্রন্থে দেখবেন না দেবতারা লেখাপড়া করেছে। স্বর্গে দেবতাদের অনেক কিছু থাকার কথা শুনলেও লাইব্রেরির কথা কেউ শোনেনি।’
হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে বিকাশের এই মন্তব্যে দারুণ চটেছেন শুভেন্দু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এর প্রতিবাদ করে শুভেন্দু বলেন, হিন্দু দেবদেবীদের হেয় করা নিয়ে সিপিএমের এই বস্তাপচা মনোভাব উনি আগেও দেখিয়েছেন। নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ দেখাতে হলে উনি সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্ম-বিশ্বাস নিয়ে কিছু মন্তব্য করে দেখান। না হলে লোকে ওঁর মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন করবে। যদিও শুভেন্দুর আক্রমণের জবাবে বিকাশ বলেন, ‘দেবতাদের মধ্যেও যে চৌর্যবৃত্তি আছে, নানা সংস্কৃত গ্রন্থের দৃষ্টান্ত দিয়ে তা দেখিয়েছেন লেখিকা। সংস্কৃত পুস্তকভাণ্ডার তা প্রকাশ করেছে। সেই গবেষণা আমি করিনি। আমি কৌতুক করে বলেছি। তবে আমার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে যারা চিন্তিত, সেই শুভেন্দুকে বলব, হিন্দু হিন্দু করে আপনি দিনরাত যা করে বেড়াচ্ছেন, তাতে নিজের মানসিক ভারসাম্য ঠিক আছে তো?’