উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথমে আমেরিকার কাছে হার, দ্বিতীয় ম্যাচও জিততে পারল না পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরপর দু’ম্যাচ হেরে চাপে পাকিস্তান। শেষ আটে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে বাবর আজমরা। আমেরিকার কাছে হারের পরই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। ভারতের বিরুদ্ধে ১২০ রানের সহজ লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারেননি তাঁরা। স্বভাবতই পাকিস্তানের এই পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেটারদের ওপর সুর চড়াচ্ছেন প্রাক্তনরা। সেলিম মালিক কাঠগড়ায় তুলেছেন ইমাদ ওয়াসিমের মন্থর ব্যাটিংকে। আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির চোখে খলনায়ক অধিনায়ক বাবরই। বাবরদের সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম আক্রম এবং ওয়াকার ইউনিসও। উঠে গিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন।
বিশ্বকাপের আগে শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবরকে অধিনায়ক করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জামাইকে অধিনায়ক হিসাবে একটা সিরিজ দেখেই বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পর পর দু’টি ম্যাচে হারের পর হতাশ আফ্রিদি দায়ী করেছেন বাবরকেই। তিনি বলেছেন, ‘‘এক জন অধিনায়ক দলের সকলকে এক সূত্রে বাঁধতে পারে। আবার সে দলের পরিবেশ নষ্টও করে দিতে পারে। আমাদের বিশ্বকাপ শেষ। এখন খোলাখুলি ভাবেই কথা বলব।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘শাহিনের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক আছে। ওর সম্পর্কে কিছু বললেই সকলে বলে আমি নিজের জামাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। আমার মনে হয়, পাকিস্তানের সাজঘরের পরিবেশ ঠিক নেই। আসলে অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে দলের কয়েক জন ক্রিকেটারের সমস্যা রয়েছে। দলের মধ্যে একতা নেই।’’
ওয়াসিম আক্রম বলেছেন, ‘‘এই দলের প্রায় সকলে কম-বেশি ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আমার পক্ষে এদের কিছু শেখানো সম্ভব নয়। মহম্মদ রিজওয়ানের খেলাটা নিয়ে কোনও জ্ঞানই নেই। এটুকু বোঝে না, ওকে আউট করার জন্যই বুমরাহ ওই বলটা ইচ্ছাকৃত করেছিল। আর রিজওয়ান সাবধানে না খেলে বড় শট নিতে গেল! আউটও হল।’’ আক্রম বলেছেন, ‘‘ফখর আর ইফতিকার এত দিন ধরে পাকিস্তানের হয়ে খেলছে। অথচ ওদের খেলায় কোনও উন্নতিই নেই। কী ভাবে ব্যাট করতে হয়, সেটুকুও জানে না। এরা আসলে মনে করে, ভাল খেলতে না পারলে কোচকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওদের কিছুই হবে না। কোচদের এ বার ভাবা দরকার। প্রয়োজনে পুরো দলটাই পরিবর্তন করে দিতে হবে।’’
মালিক বলেছেন, ‘‘ওয়াসিমের ইনিংস দেখলেই বোঝা যাবে, কী ভাবে বল নষ্ট করেছে। কতগুলো বলে রান করতে পারেনি। ওর ইনিংসের জন্যই রান তাড়া করার কাজ কঠিন হয়ে গিয়েছে।’’