উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হেলায় হারাল আয়ারল্যান্ডকে। জয় দিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের। ব্যাট বলের কাছে মাথা তুলেই দাঁড়াতেই পারলেন না আইরিশ ব্রিগেড। কোহলি ব্যর্থ হলেও সহজেই রোহিত-পন্থের ব্যাটিং তাণ্ডবে পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে জয় হাসিল করল টিম ইন্ডিয়া। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা। রোহিত ১০ ওভারের শেষে কাঁধে সমস্যা অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করল টিম ইন্ডিয়া।নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় রোহিত শর্মা। এই মাঠেই পরপর তিনটি ম্যাচ খেলবে ভারত। অ্যান্ডি বলবির্নিকে সঙ্গে নিয়ে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন ক্যাপ্টেন পল স্টার্লিং। তৃতীয় ওভারেই আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হানেন আর্শদীপ সিং। তাঁর ওভারের প্রথম বলেই আউট হন পল স্টার্লিং। আইরিশ অধিনায়কের ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি ঋষভ পন্ত। ৬ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন স্টার্লিং। আয়ারল্যান্ড দলগত ৭ রানে ১ উইকেট হারায়। একই ওভারে দুই আইরিশ ওপেনারকে সাজঘরে ফেরালেন আর্শদীপ সিং। ২.৬ ওভারে আর্শদীপের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অ্যান্ডি বলবির্নি। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ড দলগত ৯ রানে ২ উইকেট হারায়। আর্শদীপ ২ ওভারে ৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন।
সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি বল হাতে নিয়েই ভারতকে সাফল্য এনে দেন। ৬.৫ ওভারে হার্দিকের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন লরকান টাকার। ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আয়ারল্যান্ড ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায়। অষ্টম ওভারে জসপ্রীত বুমরাহর বলে আউট হন হ্যারি টেক্টর। ১৬ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন হ্যারি। আয়ারল্যান্ড ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারায়। ৮.৬ ওভারে হার্দিকের বলে উইকেটকিপার ঋষভ পন্তের দস্তানায় ধরা পড়েন কার্টিস ক্যাম্ফার। আয়ারল্যান্ড ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারায়।৯.৪ ওভারে সিরাজের বলে বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন ডকরেল। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ড ৪৬ রানে ৬ উইকেট হারায়।
১০.১ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে শিবম দুবের হাতে ধরা পড়েন মার্ক আডায়ার। ২ বলে ৩ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ড ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারায়। ১২তম ওভারে প্রথমবার স্পিন আক্রমণ শানায় ভারত। বল করতে আসেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি বল হাতে নিয়েই সাফল্য এনে দেন দলকে। ১১.২ ওভারে অক্ষরের বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ম্যাককার্থি। শূন্যরানে আউট হন তিনি। আয়ারল্যান্ড ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায়। ১৪.২ ওভারে ফের উইকেট পান জসপ্রীত বুমরাহ। বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন জোশ লিটল। ১৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ৭৯ রান। শেষ বলে ফ্রি-হিটে রান-আউট হন ডেলানি। আয়ারল্যান্ড ১৬ ওভারে ৯৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪ বলে ২ রান করে নট-আউট থাকেন বেন হোয়াইট। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ৯৭ রান।
৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। প্রথম থেকেই ব্যাটে ঝড় তুলতে শুরু করেন রোহিত। কিন্তু হতাশ করেন কোহলি। ম্যাচের ২.৪ ওভারে আডায়ারের বলে বড় শট নেওয়ার চেষ্টায় থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে বেন হোয়াইটের হাতে ধরা পড়েন বিরাট। ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। ভারত ২২ রানে ১ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন ঋষভ পন্ত। এরপরই ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে থাকেন রোহিত-পন্থ। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা। ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৭৬ রান। ৩৭ বলে ৫২ রান করেছেন রোহিত। রোহিত ১০ ওভারের শেষে কাঁধে সমস্যা অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন। ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব।
১১.৪ ওভারে বেন হোয়াইটের বলে বড় শট নেওয়ার চেষ্টায় ডকরেলের হাতে ধরা পড়েন সূর্যকুমার যাদব। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। ভারত ৯১ রানে ২ উইকেট হারায়। ১২.২ ওভারে ব্যারি ম্যাককার্থির বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে জয় এনে দেন ঋষভ পন্ত। আয়ারল্যান্ডের ৯৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪৬ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। ২৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পন্ত। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
ভারতের প্রথম একাদশ:- রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং।
আয়ারল্যান্ডের প্রথম একাদশঃ পল স্টার্লিং (ক্যাপ্টেন), অ্যান্ডি বলবির্নি, লরকান টাকার (উইকেটকিপার), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক আডায়ার, ব্যারি ম্যাককার্থি, জোশ লিটল ও বেন হোয়াইট।