উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হারিকেন ‘বেরিল’-এর বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে বৃহস্পতিবার ভোরে দেশে ফিরছে বিশ্বজয়ী টিম ইন্ডিয়া। এদিন সকাল ছটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে এসে নামবে ভারতীয় দলের চাটার্ড বিমান। তার পরেই ভারতীয় দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে প্রাতরাশ সারবেন তিনি। তার পরে মুম্বইয়ে বিশাল সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।
শনিবার বার্বাডোজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সোমবার বার্বাডোজ থেকে ভারতের ফেরার বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় বেরিলের প্রভাবে বার্বাডোজেই আটকে পড়ে ভারতীয় দল। সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দর। জারি হয় কারফিউ। হোটেলবন্দি হয়ে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ঝড়ের ফলে বার্বাডোজ জুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রোহিতদের হোটেল বিদ্যুৎহীন হয়েছিল বলে সূত্রের দাবি। পিছোতে থাকে টিম ইন্ডিয়ার দেশে ফেরা। অবশেষে বুধবার ভোরে দেশে ফেরার বিমানে ওঠেন ক্রিকেটাররা।
বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ দিল্লিতে পা রাখার কথা ক্রিকেটারদের। তার পর থেকেই শুরু হবে বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশন। দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ক্রিকেটাররা চলে যাবেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেখানে প্রাতরাশ সারবেন মোদির সঙ্গেই। সেখানে ঘণ্টাদুয়েক থাকবে ভারতীয় দল। তাঁদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থাও করা হবে বলে সূত্রের খবর।
মোদির সঙ্গে প্রাতরাশের পরে মুম্বই উড়ে যাবেন বিশ্বজয়ীরা। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে যাবেন বিরাট কোহলিরা। এই পথের শেষ এক কিলোমিটার হুড খোলা বাসে রোড শো করবেন। ট্রফি হাতে ভিকট্রি শো করবেন এই বাসযাত্রায়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছে আরও একবার সেলিব্রেশন হবে।
২০১১ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। রোহিতেরা সেই মাঠেই যাবেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একটি জমকালো একটি অনুষ্ঠানে অধিনায়ক রোহিত শর্মা সেই মাঠে টি২০ বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেবেন বোর্ড সচিব জয় শাহের হাতে। সন্ধ্যাবেলা ক্রিকেটারেরা যে যার বাড়ি ফিরে যাবেন।