কিশনগঞ্জঃ দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, বিহারের পূর্ণিয়ার শরীফগঞ্জের নিষিদ্ধপল্লীতে নারীপাচারের একটি চক্র সক্রিয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানাভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন। এই কারবার বন্ধ করতে তৎপর হয় পুলিশ। গঠন করা হয় সিট। রবিবার রাতে শরীফগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লীতে হানা দিয়ে পুলিশ আটক করে ৯ জন যৌনকর্মী সহ মোট ১২ জনকে। এদের মধ্যে ৫ জন নাবালিকা। আজ ধৃতদের তোলা হয়েছে পূর্ণিয়া আদালতে।
পূর্ণিয়ার পুলিশ সুপার আমীর জাভেদ জানান, গোপন সূত্রে তারা জানতে পারেন, শরীফগঞ্জ নিষিদ্ধপল্লীতে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি চলছে নারী কেনাবেচা। ফুঁসলিয়ে মেয়েদের নিয়ে এসে ভিন রাজ্যে মোটা অংকের টাকায় পাচার করে দেওয়া হয়। আবার কোনও কোনও মেয়েকে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করে। এই কারবারে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য মানবপাচারকারী চক্র। এই খবর পাওয়ার পরই জেলার বাছাই করা পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করে রবিবার সন্ধ্যায় হানা দেওয়া হয় শরীফগঞ্জের নিষিদ্ধপল্লীতে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাইসির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আদিত্য কুমার। অভিযান চালিয়ে ৯ জন যৌনকর্মীকে ও তিনজন গ্রাহককে আটক করে পুলিশ। ধৃত যৌনকর্মীদের মধ্যে ৫ জন নাবালিকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু আপত্তিকর সামগ্রী।
সোমবার ধৃতদের পূর্ণিয়া আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের পূর্ণিয়া সেন্ট্রাল জেলে ১৪দিনের জেল হেপাজতে পাঠানো হয়। ধৃত নাবালিকাদের পাঠানো হয়েছে সরকারী হোমে।