হরিশ্চন্দ্রপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দলের জয় পরাজয় বিশ্লেষণ করতে হরিশ্চন্দ্রপুরে সংগঠন সমিতির প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির তরফে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মীসভায় ডাকা হয়নি দলের উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালকে। যার জেরে কর্মীসভার মধ্যেই দলের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সংঘাতের চিত্র ফুটে উঠল। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
বুধবার উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার অন্তর্গত মণ্ডল-২ এর কর্মীসভা ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর সংগঠন সমিতিতে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। মণ্ডল সভাপতি অজয় পাশওয়ান সহ অন্যান্য মণ্ডল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে হয় এই কর্মসূচি। তবে এদিনের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপির দুই বর্ষীয়ান নেতা রূপেশ আগরওয়াল এবং কিষাণ কেডিয়াকে। তাদের অনুপস্থিতির কারণেই প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনা। অন্যদিকে, কিষান কেডিয়ার দাবি, দলীয় নেতৃত্ব তাকে এই বৈঠকের ব্যাপারে জানিয়েছিল। শারীরিক কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্ন নেই। তবে রুপেশ আগরওয়াল দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তার অভিযোগ, এই বৈঠকের ব্যাপারে তাকে কেউ জানায় নি। এই বৈঠকের কোনও সূচনা তাঁর কাছে আসেনি। এমনকি শুধু তিনি নন অনেক কর্মীরাই বৈঠকের ব্যাপারে জানে না। কেউ যদি নতুন করে বিজেপি করতে চায় তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমি কোনও গোষ্ঠীতে নেই আমি শুধু দলকে বুঝি।
যদিও বিজেপি মণ্ডল সভাপতি অজয় পাশোয়ান সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা এবং লোকসভা ভোট নিয়ে একটি কর্মীসভা ছিল। আমাদের অফিস সেক্রেটারি সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে হয়ত কেউ কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।‘