খড়িবাড়ি: পানিট্যাঙ্কিতে বিতর্কিত চা বাগানের জমি বিক্রি হচ্ছে না। তাই চা বাগানের জমিতে তৈরি মার্কেট কমপ্লেক্স চড়া দামে বিক্রি করার সুযোগ করে দিতেই বাতারিয়া নদীতে বক্স কালভার্ট তৈরি করছে খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। এই কালভার্ট তৈরি হওয়ায় বাতারিয়া নদীর গতিপথ আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিবাদে আজ কালভার্টের নির্মাণকাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। প্রশাসনের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি এলাকার সতীশচন্দ্র চা বাগানের জমি প্রায় ৬ব ছর আগে দখল করে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে একটি মাফিয়া চক্র। শাসক ও বিরোধী দলের সদস্যরা সকলে মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করে এই কাজ করছিল বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমে বহুবার খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরেও নবান্ন থেকে সরকারিভাবে মাফিয়াদের তৈরি একটি সংস্থাকে লিজ মঞ্জুর করে। সেই বির্তকিত জমি পরবর্তীকালে মাফিয়ারা বিক্রি করে মার্কেট তৈরি করে। কিন্তু পানিট্যাঙ্কি-নকশালবাড়ি রাজ্য সড়কের পাশে বাতারিয়া নদী ঘেঁষে যে জমির প্লটগুলি রয়েছে সেগুলি পেছনের দিকে থাকায় বিক্রি হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সেই জমিগুলি চড়া দামে যাতে জমি মাফিয়ারা বিক্রি করতে পারে তার জন্য মার্কেটের একটি রাস্তাকে চলাচল যোগ্য করতেই খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় বাতারিয়া নদীর উপর বক্স কালভার্ট তৈরি করছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের কাছে এই কালভার্টের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। এছাড়া কালভার্টটি ছোট আকারের হওয়ায় নদীর গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে এলাকাবাসীর দাবি। বিক্ষোভকারীরা কালভার্টটি চওড়া করার দাবি করেন। এছাড়াও পাশে অবস্থিত হনুমান মন্দিরটি রক্ষার জন্য বাতারিয়া নদী বরাবর গার্ডওয়াল তৈরির দাবি করেছেন তাঁরা।
তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণ রায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, ‘এখন কালভার্টের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া কালভার্টটি বড় করা দরকার।‘ সোমবার ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিলে খড়িবাড়ি বিডিও অফিস থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক তথা খড়িবাড়ির বিডিও নিরঞ্জন বর্মন বলেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতির সিদ্ধান্তেই কাজ হচ্ছে। কালভার্টটি আরও বড় করা যায় কিনা পঞ্চায়েত সমিতির সভা থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।‘