রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: হেরিটেজ তকমা বাঁচাতে তড়িঘড়ি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) (Darjeeling Himalayan Railway) সেকশন পরিদর্শন করলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার (Katihar) ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। মঙ্গলবার সুকনা স্টেশন (Sukna station) থেকে ঘুম পর্যন্ত লাইন পরিদর্শন করতে করতে দার্জিলিং (Darjeeling) পর্যন্ত যান তিনি। সেকশন পরিদর্শনের পরই ডিএইচআর (DHR) কর্তাদের কাছে রিপোর্ট তলব করেন ডিআরএম। কেন বারবার লাইনচ্যুত হচ্ছে ট্রেন, ইঞ্জিনের কী পরিস্থিতি সবটাই জানতে চেয়েছেন তিনি। ডিআরএনের বক্তব্য, ‘বিশ্ব ঐতিহ্য টয়ট্রেন আমাদের গর্ব। টয়ট্রেনের পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’
গত কয়েকদিন ধরে টয়ট্রেনের (Toy train) একাধিক জয়রাইড লাইনচ্যুত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ইঞ্জিন খারাপ হয়ে বসে যাচ্ছে। এর ফলে বাতিল করে দিতে হচ্ছে পরিষেবা। এতে পর্যটকদের যেমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তেমনই টয়ট্রেনের বিশ্ব ঐতিহ্য তকমা ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রেল বোর্ডের নির্দেশে সোমবারই এনজেপিতে (NJP) আসেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। এরপর এদিন ডিএইচআর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা সেকশন পরিদর্শনে বের হন তিনি। প্রথমেই সুকনা স্টেশনে যান। সেখান থেকে স্পেশাল ট্রেনে পাহাড়ের দিকে ওঠেন। পাহাড়ে ওঠার সময় তিনধারিয়া ওয়ার্কশপে যান। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রেলের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ১০০ বছর পুরোনো স্টিম ইঞ্জিনগুলিতেই বেশি সমস্যা হচ্ছে। এরপর তিনি কার্শিয়াং, ঘুমের মতো বড় স্টেশনগুলিতে গিয়েছিলেন। লাইনের পরিস্থিতি কী রয়েছে, কোথায় লাইন বদলাতে হবে, সেইসব বিষয়ে একটি রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। আগামী সাতদিনের মধ্যে ডিএইচআর আধিকারিকদের ওই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট যাবে রেলবোর্ডের কাছে। এরপরই সেখান থেকে আর্থিক বরাদ্দ আসবে। এসবের পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষায় আরও বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে। ইঞ্জিন জয় রাইডের জন্য বের করার আগে ভালো করে পরীক্ষা করেই ট্র্যাকে নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।