চ্যাংরাবান্ধা: আড়াই কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকায় ট্রাক চালক ও দেশ-বিদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের তরফে এই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও জমিজটের কারণে সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। এই জমিজট সমস্যা খতিয়ে দেখতেই বুধবার চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শন করলেন তিস্তা ব্রীজ কনস্ট্রাকশন ডিভিশনের এক প্রতিনিধিদল। যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিস্তা ব্রিজ কনস্ট্রাকশন ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুজিত কুমার দাস। তারা চেকপোস্ট এলাকায় এর জন্য প্রস্তাবিত জমি ঘুরে দেখেন। কথা বলেছেন সীমান্তের বিএসএফের কর্তাদের সঙ্গেও। তবে প্রশাসনের প্রতিনিধিদলের এই সীমান্ত পরিদর্শনের খবরে খুশি চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের মানুষ। তাদের আশা এখানে এবার দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় ট্রাক কর্মী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য দীর্ঘদিন থেকে পরিকাঠামো গড়ার দাবি উঠে এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের এই উদ্যোগে সন্তুষ্ট ট্রাক চালকরাও।
এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘এদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা ঘুরে দেখে জমি পরিদর্শন করেছি। জমি নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে। জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এখানে পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।‘
তিস্তা ব্রিজ কনস্ট্রাকশন ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীশেড, বিশ্রামাগার, শৌচাগার ইত্যাদি তৈরি করা হবে এখানে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।