দার্জিলিং: সারা রাজ্যের সঙ্গে এবার ভোট হচ্ছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো পাহাড়ি জেলাগুলোতেও। প্রায় দুই দশক পর এই দুই জেলাতেই দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। দিন ঘোষণা হতেই সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল দুই জেলাতেই। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম পাহাড়ে নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জেলাশাসক জানান, দার্জিলিং জেলায় ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৯৮টি আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। একইভাবে কালিম্পং জেলাতেও ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮১টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। যেখানে ভোট দেবেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটার। ইভিএমে নয় ব্যালটেই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
উল্লেখ্য, জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুভাষ ঘিসিংয়ের আমলে ২০০০ সালে শেষবারের মতো পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়। সেই ব্যবস্থা ২০০৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। তারপর থেকেই পাহাড়ে ষষ্ঠ তপশিল লাগু করার দাবিতে ভোট আটকে তালবাহানা শুরু করেন ঘিসিং। এরপর ২০০৭ সাল থেকে পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের উত্থানের সঙ্গে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে জোরদার আন্দোলন শুরু হয়। পরে সেই আন্দোলন স্তিমিত হলেও পাহাড়ে পঞ্চায়েতের নির্বাচন আর হয়নি। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য পরিষদকে সরিয়ে তৈরি হয় জিটিএ বা গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। জিটিএ চুক্তিতে পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা লাগু করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও জিটিএ আইন সংবিধান স্বীকৃত না হওয়ায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। সেই জন্যই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের সিদ্ধান্তই দিয়েছে।