হরিশ্চন্দ্রপুর: এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, এই খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে শাশুড়ি। ঘটনার পরই থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়ি।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম আদুরি খাতুন। দেড় বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দক্ষিণ তালগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা মহিদুল হকের সঙ্গে আদুরি খাতুনের বিয়ে হয়। কিন্তু আদুরির স্বামী ভিন রাজ্যে কর্মরত। শ্বশুর বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকত আদুরি। অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতিতে শ্বশুর মান্নান কুনজরে দেখত ওই গৃহবধূকে। বিভিন্ন প্রস্তাব দিত তাঁকে। এমনকি মৃতার শাশুড়ি এই নিয়ে বুঝতে পারলেও কোনও প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু কিছুদিন আগে আদুরি শ্বশুরের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার বাবার বাড়ির লোককে সমস্ত ঘটনা জানায়। বাবার বাড়ির লোকেরা গৃহবধূর স্বামীকেও বিষয়টি নিয়ে বলে। সেইসময় তাঁর স্বামী বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়। মৃতার বাবার বাড়ির লোকের সন্দেহ, তাঁদের মেয়ে প্রতিবাদ করেছিল বলেই সেই রাগে তাঁর শ্বশুর বুধবার রাতে আদুরিকে খুন করেছে। গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকেরা বিষয়টি যখন জানতে পারে, তাঁরা এসে দেখে শ্বশুরবাড়ির ঘরে একটি খাটের মধ্যে পড়ে রয়েছে আদুরির মৃতদেহ। শ্বশুর এবং শাশুড়ি দুজনেই পলাতক। তারপরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাবা। মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।