প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: লোকসভা ভোটের আগে ’দেবতারাই’ যেন বনে গিয়েছেন ভারতীয় রাজনীতির ’আইকন’। সেই মতোই অযোধ্যায় রাম মন্দির(Ram Mandir) উদ্বোধন নিয়ে গোটা দেশজুড়ে উন্মাদনা জাগিয়ে তুলেছে মোদি শিবির। একই রকম উন্মাদনা জাগাতে বাংলাতেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দীঘায় জোরকদমে চলছে ’জগন্নাথ’ মন্দির তৈরির কাজ। এমন আবহের মধ্যেই আবার বাংলায় সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনারও হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গণেশ বন্দনার সেই হিড়িকের প্রকাশ এখন দেখা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের(Bardhaman) জামালপুরে চলা বসুন্ধরা উৎসবে। এই উৎসবের প্রদর্শনীতে অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের একাধিক মডেলও শোভা পাচ্ছে। সে সব চাক্ষুষ করতে মোদি ভক্তরাও উৎসাহী হয়ে উৎসবস্থলে ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। এ সবের মাঝেই আবার বঙ্গের স্বামীজিরা জানিয়ে দিলেন, দেশের পাড়ায় পাড়ায় রামচন্দ্রের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে পারলে তবেই অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।
বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বেশ কয়েক বছর ধরে জামালপুরের শুঁড়েকালনায় বসুন্ধরা উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তাদের উৎসব এবছর ১৫তম বর্ষে পাদার্পণ করেছে। এদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে যখন গোটা দেশ উন্মাদনায় ভাসছে, তখন বসুন্ধরা উৎসবে সিদ্ধিদাতাকে তুলে ধরার কারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। এবিষয়টি নিয়ে বসুন্ধরা উৎসব কমিটির সভাপতি প্রদীপ পাল জানান, মানুষ রাম মন্দির চেয়েছে ,তাই রাম মন্দির হয়েছে। একইভাবে বাংলার মানুষ চেয়েছে বলেই এই রাজ্যে জগন্নাথ মন্দির হচ্ছে। স্বামী দুর্গেশানন্দ পুরী বলেন, ‘সিদ্ধিদাতা গণেশ হলেন কর্মশক্তির প্রতীক। তিনি সিদ্ধিদান করেন। তাই বসুন্ধরা উৎসব প্রাঙ্গণে তার মূর্তি রাখাটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে। রামচন্দ্রের আদর্শই ভারতবর্ষের আদর্শ। রামচন্দ্র হলেন ত্যাগ ও সুশাসনের প্রতীক। সেই কারণেই তিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম।’