আলিপুরদুয়ার : রেল ও বন দপ্তর সমন্বয় করে হাতিমৃত্যু আটকাতে উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি রেলের কন্ট্রোল রুমে (Control Room) তিনজন বনকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। এতে বনকর্মীদের কাছ থেকে হাতির উপস্থিতি জানতে পারছে রেল। আবার লোকো পাইলটরা (Loco Pilot) | হাতির মৃত্যু (Elephant Death) ঠেকাতে উদ্যোগ, রেলের কন্ট্রোল রুমে তিন বনকর্মী হাতির উপস্থিতি বুঝতে পারলেই বন দপ্তরকে জানাচ্ছেন। বন দপ্তর তখন হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছে। এতে হাতি-রেল সংঘাত এড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন রেল ও বন দপ্তরের কর্তারা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম ইতিপূর্বে রেলের কন্ট্রোল রুমে বন দপ্তরের কর্মীদের নিযুক্ত করার বিষয়ে বলেছিলেন। এদিন রেলের এক কর্তা রেলের কন্ট্রোল রুমে তিনজন বনকর্মীর কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানান।
এই বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র-প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর (পশ্চিম) পারভিন কাশোয়ান বলেন, ‘রেলের কন্ট্রোল রুমে তিনজন কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। রেলের (Railway) সঙ্গে ভালোভাবে সমন্বয় রেখেই বন দপ্তর (Forest Department) কাজ করছে। সাফল্য মিলেছে।’ বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজাভাতখাওয়া এলাকায় শিকারি গেটের সামনে ভিস্টাডোম যাওয়ার সময় লোকো পাইলট হাতি দেখতে পান। তড়িঘড়ি তিনি কন্ট্রোল রুমে জানাতেই বনকর্মীরা হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করেন। একইরকমভাবে সম্প্রতি ডুয়ার্স রেল রুট সংলগ্ন এলাকায় হাতির উপস্থিতি কন্ট্রোল রুমের বনকর্মীদের জানানো হয়। বন দপ্তরের কর্মীদের কাছ থেকে হাতির নির্দিষ্ট অবস্থান জানার পর লোকো পাইলটরা ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান রেল ও বনকর্তারা। সেই জায়গা অতিক্রম করার পর লোকো পাইলটদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হচ্ছে। শেষপর্যন্ত হাতিকে কোন জায়গায় কী অবস্থায় দেখা গিয়েছে তার খোঁজ নেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রেলের কন্ট্রোল রুমে বন দপ্তরের কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনজন কর্মী আট ঘণ্টা করে দায়িত্বে থাকেন।