রণজিত্ ঘোষ, শিলিগুড়ি: মনোনযনপত্র জমা দিতে ২১ কিলোমিটার পথ দৌড়ে সুখিযাপোখরি ব্লক অফিসে পৌছালেন এক প্রার্থী। কোনও প্রতিবাদ স্বরুপ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিযে নয়, বরং দার্জিলিংয়ে নিত্য যানজট সমস্যা মোকাবিলা এবং শরীরচর্চার গুনাগুনের বার্তা দিতেই তাঁর এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন সোনাদার বাসিন্দা স্মরণ সুব্বা। তাঁর বক্তব্য, ‘সোনাদা থেকে দার্জিলিং পৌছাতে এখন তিন চার ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানুষ এতটাই অলস হয়ে যাচ্ছে যে, হাঁটা পথও গাড়িতে চড়েই যেতে পছন্দ করছেন। এসবের প্রতিবাদেই আমার এই পদক্ষেপ।’
সোনাদার বাসিন্দা বছর ৩৬ এর স্মরণ এলাকায় কালু নামেই বেশি পরিচিত। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত নন স্মরণ। তিনি এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। এলাকার উন্নয়নের কাজে নিজেকে আরও ভালোভাবে যুক্ত করতেই এবার পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোননয়পত্র জমা দিলেন স্মরণ। গোটা পাহাড় যখন ঘুমোচ্ছে, ঠিক সেই সময় অর্থাৎ ভোর চারটায় বাড়ি থেকে সুখিয়াপোখরি ব্লকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্মরণ। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের ভিজে থাকা পথেই দৌড় শুরু করেন তিনি। পরনে জ্যাকেট, হাফ প্যান্ট, পিঠে একটি ব্যাগ। ঘুম ভেঙে উঠে রাস্তায় এভাবে এক ব্যক্তিকে হিলকার্ট রোড ধরে দৌড়াতে দেখে অনেকেই কৌতুহলী হলেন বটে, কিন্তু তখনও কেউ জানতেন না যে এভাবে কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন।
পাঁচ ঘণ্টা দৌড়ে ২১ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে স্মরণ সুখিয়াপোখরি ব্লক অফিসে পৌছান। তখনও ব্লক অফিস খোলেনি। ফলে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মনোনয়নপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হতেই স্মরণ জোড়বাংলো-সুখিযাপোখরি পঞ্চায়েত সমিতির লোয়ার সোনাদা(আসন নম্বর ৩১) থেকে প্রার্থীপদ জমা দেন।