নয়াদিল্লিঃ সম্প্রতি প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে হাজিরা দিতে দিল্লি এসে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অধীর চৌধুরী৷ পুজোর আগে বহরমপুর বাইপাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য জানান বিশেষ আর্জি৷ গত সপ্তাহে সংসদে প্রত্যাহার হয়েছে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতার সাসপেনশন। সাসপেনশন প্রত্যাহারের পরে এদিনই ছিল অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম বৈঠক৷ মঙ্গলবার প্রথমবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) বৈঠকে বসে সরাসরি গড়করির মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ‘ক্যাগে’র অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করলেন পিএসি চেয়ারপার্সন অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজে।
নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রে দাবি, এদিনের পিএসি বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নির্মিয়মাণ সড়ক প্রকল্প গুলির খরচ নিয়েও৷ সম্প্রতি ভারতমালা প্রকল্পের অন্তর্গত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক অসঙ্গতির কথা সামনে এসেছে সিএজি (ক্যাগ) রিপোর্টে৷ ভারতমালা প্রকল্পের অন্তর্গত দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সিভিল কনস্ট্রাকশন খাতে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের খরচ অভাবনীয় ভাবে বেড়েছে ১২০ থেকে ১৮০ শতাংশ৷ একইরকম ভাবে প্রতি কিমি সড়ক নির্মাণের খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিএজি৷ কোথাও কোথাও খরচ বেড়েছে ২০০০ শতাংশ আবার কোথাও দেখা গিয়েছে প্রতি কিমি সড়ক তৈরির খরচ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি টাকা৷
এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট জবাব তলবও করতে পারে পিএসি, দাবি সংসদীয় সূত্রের৷ পুরো ঘটনা প্রবাহের মধ্যে বিজেপিরই কোনও চোরা অন্তর্ঘাত বা গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে কী, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কী কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম সৎ ও কর্তব্যপরায়ণ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে, এমন প্রশ্নও তুলছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পিএসির সদস্যদের একাংশ, দাবি সংসদ সূত্রের৷
প্রসঙ্গত আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে চাপ বাড়ছে মোদি সরকারের৷ বিগত সাড়ে চার বছরে মোদী সরকারের তরফে প্রণীত বিভিন্ন জনহিতকর কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের কতটা বাস্তবিক ভাবে খরচ করা হয়েছে, কতটা অর্থের অপচয় হয়েছে, কতটা কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ শেষ করতে কত পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি৷ নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে এই মর্মে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে জনহিতকর প্রকল্প গুলির বাস্তবিক পরিস্থিতি ছাড়াও ব্যাঙ্কিং, ইনসিওরেন্স সেক্টর এবং এনার্জি সেক্টরের হিসেব নিকেষও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷