চ্যাংরাবান্ধা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ৮ জুলাই ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন সিপিএমের ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তথা চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সিরাজুল ইসলাম জানান, এদিন দলের ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে ৪ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন।
অন্যদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিন চ্যাংরাবান্ধায় মেখলিগঞ্জের বিডিও দপ্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন এক প্রার্থী। মতিয়ারবাবু বলেন, ‘এদিন চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭২ নম্বর বুথে রুণা খাতুন মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন। তৃণমূলের তরফেই তিনি মনোনয়ন জমা করেছেন।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, দলের সংখ্যালঘু সেলের তরফে এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৬ জন এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা করবেন। বিষয়টি তিনি দলের ঊর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়ে করেছেন। এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দলের তরফে মনোনয়ন জমা করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার জানান, এদিন দলের তরফে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।