উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা করা হচ্ছে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে। এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। যদিও এই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর। সূত্রের খবর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই দলে এই রদবলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শা এবং জেপি নাড্ডা।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই নিয়ে এখন জোর প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে দফায় দফায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষকে। সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে পূর্ণ মন্ত্রী করার পরিকল্পনাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় যেতে পারেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সুকান্তর জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করার নতুন ফর্মূলাও তৈরি হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
এদিকে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা নয়া পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বিষয়টিতে সম্মতিও দিয়েছেন। তারপরই বাংলা থেকে দু’জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার কথা ভাবা হয়েছে। যদিও সব জেনে চুপ করে আছেন তাঁরা। তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেনি বিজেপি। তবুও বিরোধী দলনেতা পদটি শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর তাই সুকান্তর জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করতে চান জেপি নাড্ডা। যদিও সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চাইছেন, রাজ্য সভাপতির বিরোধী দলনেতা পদ অনেক ভাল। কারণ এটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য পদ।
সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে দেওয়া হবে, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ। আবার সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়েছেন। দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ছক কষা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদের দুজনকে মন্ত্রী করা হলে মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন উত্তরবঙ্গের জন বারলা ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। পরিবর্তে আসবেন সুকান্ত–দিলীপ। যদিও আরএসএস চায় দিলীপ ঘোষকে আবার রাজ্য সভাপতি করা হোক, শুভেন্দুকে নয়।