বক্সিরহাট: সম্প্রতি সিবিএসসি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বছরভর স্কুলে ভুল বই পড়ানোর ফলে বোর্ডের বাংলা পরীক্ষায় মোট ২৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। কেন সেই সিলেবাস পড়ানো হয়নি পড়ুয়াদের? স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে আসেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন স্কুলের ডিরেক্টর। এমনকি অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। সেই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এদিন তুফানগঞ্জ-২ বিডিও দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জনিয়েছেন অভিভাবকরা।
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ভানুকুমারী-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে অভিভাবক মহলে। এবছর ওই স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে আঠারো জন। তবে বাংলা বিষয়ে রয়েছে আট জন পরীক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিবিএসসি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা। অভিযোগ, বছরভর ওই স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা বিষয়ে একটি পাঠ্যবই ও রাজকাহিনী নামে গল্পের বই পড়ানো হয়েছিল। গ্রামারের কোনও কিছুই শেখানো হয়নি পড়ুয়াদের।
এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, সারা বছর ধরে তাঁদের বাংলা বিষয়ে ভুল বই পড়িয়েছেন শিক্ষকরা। পরীক্ষা দিতে গিয়ে তাঁরা দেখেন গল্পগুচ্ছ নামে অন্য একটি গল্পের বই থেকে মোট ২৪ নম্বর প্রশ্ন এসেছে পরীক্ষায়। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি তাঁরা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তাঁদের ২৪ নম্বর বাদ হয়ে গেল। যশোদা দেবনাথ নামে এক অভিভাবক বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কেন ভুল বই পড়ানোর হল তা জানতে এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের উলটে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করা হয়েছে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা্র দাবিতে বিডিও-র কাছে নালিশ জানিয়েছেন তাঁরা।
ভুল বই পড়ানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের অধ্যক্ষ দিপা সেরিন জানান, অন্য বই পড়ানো হলেও পরীক্ষা এসেছে অন্য বই থেকে। তবে এই নিয়ে একটি নোটিশ আসলেও সেই নোটিশ খেয়াল করেনি তাঁরা। তাঁদের ভুলের কারণেই পড়ুয়াদের ২৪ নম্বর মিস হয়ে গিয়েছে। যদিও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।