অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: লোকসভা ভোট আর সপ্তাহ দুয়েকও বাকি নেই। জেলার সব প্রান্তেই যখন রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনি কাজে দম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছেন না, সেইসময় এই অংশ যেন একেবারেই বিচ্ছিন্ন। নেই রাজনৈতিক দলের প্রচার। এলাকায় প্রার্থীদের প্রচারে ফ্লেক্স তো দুরের কথা, কোনও রাজনৈতিক দলেরই কোনও দলীয় পতাকার চিহ্ন মাত্র নেই। বন্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যালয়গুলিও। তবে নেতারা রয়েছেন ময়দানে। অন্য সব ভোটের আগে নেতাদের যতটা ব্যস্ত দেখা যায়। এবার যেন ব্যস্ততা তার থেকে অনেক গুণ বেশি। দিনরাত এক করে সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই পরিশ্রম করে চলেছেন।
দিন কয়েক আগেই টর্নেডো ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বার্নিশ গ্রামের বড় অংশ। ইতিপূর্বে এমন বিপর্যয় গ্রামে কখনও নেমে আসেনি। তাই ভোট দূরে সরিয়ে সব রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁ ড়িয়েছে। ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় রাজনৈতিক রঙ ভুলে তৃণমূলের নেতারা যেমন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ত্রান নিয়ে গিয়েছে। ঠিক তেমনই তৃণমূল কর্মীর দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। রবিবার বার্নিশ অঞ্চল তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা গেল, দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। কার্যালয়ের সামনেও কোনও কর্মীর দেখা নেই। একই রকম ছবি দেখা গিয়েছে বার্নিশ অঞ্চলে অবস্থিত বিজেপির কলতাপাড়া এলাকার কার্যালয়েও। বার্নিশ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য বলেন, ‘ঝড়ের পর থেকে আমাদের সব দলীয় কর্মী ও নেতা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পড়ে রয়েছে। ভোট প্রচারের সময় কোথায়?’ বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডল সহ সভাপতি নিমাই দাস বলেন, ‘এই সময় ভোটের প্রচারের থেকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো বেশি প্রয়োজন। আমাদের সব কর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষকে সাহায্য করছেন।‘