রায়গঞ্জ: মৃত্যুর পরও যেন মিলছে না শান্তি! অভিযোগ, রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Raiganj Medical College And Hospital) মর্গে কোনও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গেলেই তা নিয়ে শুরু হচ্ছে টাকার খেলা। মর্গে নাকি মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে কাজ হবে না। কাঠগড়ায় মর্গের কর্মীরা। অভিযোগ, পরিজনদের টাকার জন্য পড়তে হচ্ছে হুমকির মুখেও।
পরিজনদের দাবি, মেডিকেলের দখল কার্যত ডোমেদের হাতেই। মোট চারজন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তবে আরও দুজন বহিরাগত ওই জায়গায় থাকে বলে অভিযোগ। চিকিৎসক ময়নাতদন্তে আসার আগেই তাঁরা ‘টাকার ডিল’ করে ফেলেন। মূলত মেডিকেলে কোনও মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হলে পুলিশের (Police) তরফে তা পাঠানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহগুলি আনা হয় মর্গে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। তবে তার আগে থেকেই এই টাকার খেলা শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অ্যাম্বুলেন্স থেকে দেহ নামানোর আগে কর্মীরা মৃতের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। তাও ৫০০ বা ১০০০ টাকা নয়, কম করে ৫০০০ হাজার টাকা। কারও কাছে আরও বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে হাসপাতাল সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘এতদিন আমাদের কাছে এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তিন-চার দিন ধরে মৃতের আত্মীয়দের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের বিষয়টি জানতে পারি। এদিন দুপুরে মর্গে গিয়ে দুই কর্মী সহ ডোমদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপরও এই ধরনের অভিযোগ পেলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে চারজন মর্গের কর্মী রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকে সরকারি কর্মচারি। ফের এই ধরনের অভিযোগ আসলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন কানাইয়ালাল আগরওয়াল (Kanaia Lal Agarwal)।