হেমতাবাদ: তীব্র গরমের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি হেমতাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে প্রবল বেগে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে বিষ্ণুপুর অঞ্চলে। ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। অনেক বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয়েছে। এর সামান্য প্রভাব পড়েছে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ সহ বিভিন্ন ব্লকে।
তাপপ্রবাহের হাত থেকে স্বস্তি পাওয়ার আশায় ছিল সকলে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বুধবার হেমতাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্বস্তির বৃষ্টি দেখা যায়। তবে বিষ্ণুপুর অঞ্চলে প্রবল বেগে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টি হয়। ঝড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের সাইনবোর্ড পর্যন্ত উড়ে যায়। এছাড়া রাস্তার দুধারে একাধিক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। এদিন প্রায় ৪৫ মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু। বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, ‘কিছুক্ষণের ঝড়-বৃষ্টিতে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃষ্টি হলেও ঝড়ের তাণ্ডবে স্বস্তিটা পাওয়া গেল না।‘
হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায় বলেন, ‘যদিও এই স্বস্তি ক্ষণিকের। তবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখে আসার জন্য বিডিওকে বলেছি একটি টিম পাঠানোর জন্য।‘