অর্ঘ্য বিশ্বাস, ময়নাগুড়ি: আজকের দিনটা একটু অন্যরকম ওদের জন্য। ওরা বলতে হিলারি, মোতিরানি, ফুলমতিদের জন্য। ওরা প্রত্যেকেই কুনকি। এমন ২৬টা কুনকিকে নিয়েই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে গরুমারার আওতাধীন রামশাই মেদলা ক্যাম্প, ধুপঝোড়া গাছবাড়ি, যাত্রাপ্রসাদ পিলখানা, টুন্ডু সহ বিভিন্ন জায়গাতে হাতিদের পূজো করা হয়। পাশাপাশি নতুন শাবকদেরও এদিন পূজো করা হয়েছে। এদিন হাতিপুজো উপলক্ষ্যে ছিল এলাহি ব্যবস্থা।
আর পাঁচটা দিনের মত এদিন কুনকি হাতিদের জঙ্গল নজরদারির কাজে পাঠানো হয়নি। সকাল থেকেই গরুমারার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া মূর্তি ও জলঢাকা নদীতে চলে কুনকিদের স্নান করবার পালা। তারপর চক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নকশা এঁকে দেন কুনকিদের মাহুতেরা। তারপর সাজিয়ে গুছিয়ে চলে পুরোহিত দিয়ে পুজোর পালা। জঙ্গল খোলা থাকায় পর্যটকরাও শামিল হন এই পুজোয়। গরুমারার কুনকিরা শুধু যে এদিন কাজ থেকে রেহাই পেয়েছে তাই নয় অন্য পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা ছিল তাদের খাবারের মেনুও। জঙ্গলের ঘাস পাতার বদলে এদিন কুনকিদের পাতে উঠেছিল তাদের প্রিয় কলা, নারকেল, আপেল সহ বিভিন্ন ফল। আর এই খাবারে বেজায় খুশি গরুমারার কুনকি হাতি হিলারি, মোতীরানী, ফুলমতি, শিলাবতী, রাজা, শ্রাবণী, বসন্ত, তিস্তা, বর্ষণ, ভোলানাথ, সহ জলদাপাড়া থেকে আসা নতুন হাতিরা। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে। অনেকদিন থেকে চলে আসা রীতি মেনেই এদিন হাতিদের পুজো করা হয়।