উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে সংসার কিংবা অফিস সবক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলারাই যে শোষিত হন তেমনটা নয়, শোষিত হন পুরুষেরাও। সুতরাং আর্থ-সামজিক পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারা শোষিত হলে কিভাবে পুরুষেরা পাবেন আইনি সাহায্য, সেই প্রশ্নের সমাধান মিলবে ‘দণ্ড সংহিতা’-র নতুন বিলে। মঙ্গলবার সংসদে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য বিজেপি সাংসদ নীরজ শেখর প্রশ্ন করেন, বর্তমানে বহু সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তরে দেখা যায় মহিলারা বস। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, অধস্তন কোনও পুরুষ কর্মী যৌন নিগ্রহ বা শোষণের শিকার হন। এমনকি নিজের বাড়িতেও অনেক পুরুষই হন অত্যাচারিত। সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নিতে পারেন পুরুষেরা। তাঁর উপায় বাতলে দিয়েছেন কমিটিতে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা।
নতুন যে বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র তাতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করার পর হাতকড়া পরানো হবে নাকি সেটা তুলে দেওয়া হবে সেই প্রশ্নও ওঠে কমিটির বৈঠকে। এর উত্তরে কমিটির একাংশ বলে, হাতকড়া পরানো পুরোপুরি তুলে না দিয়ে, অপরাধের গুরুত্ব এবং অভিযুক্তের পুরনো অপরাধের কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা তা দেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে সোমবার থেকে শুরু স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনকে দেখা গেছে আক্রমণাত্মক ভূমিকায়। সোমবার গভীর রাতে কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কমিটির সদস্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সরব হয়েছেন জন প্রতিনিধিদের উপর ভুয়া মামলা নিয়ে। অন্যদিকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে যে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপরেও তর্ক-বিতর্ক চলেছে সেকথাও এদিনের বৈঠকে উঠে আসে। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে নতুন এই বিল কার্যকারী হলে কতটা পরিবর্তন আসে তাই এখন দেখার।