আলিপুরদুয়ার: এ যেন এক অসাধ্য সাধন করার গল্প। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে মঙ্গলবার এক সাফল্যের মুকুট যুক্ত হল। মাত্র ৭২০ গ্রাম ওজনের জন্ম নেওয়া এক শিশুকন্যাকে তিন মাস এসএনসিইউ বিভাগে রেখে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা। মঙ্গলবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার সোনাপুর চৌপথী এলাকার বাসিন্দা পম্পা দাস গত ৫ মে আলিপুরদুয়ার শহরের একটি নার্সিংহোমে দুই যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। একটি কন্যা সন্তানের জন্মের সময় ওজন হয়েছিল ৭২০ গ্রাম, আরেকটির ওজন হয় 950 গ্রাম। পরিবারের লোকরা জন্মের পর শিশু দুটিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি করেন। একটি শিশু জন্মের দশ দিন পর মারা যায়। যদিও আরেকটি শিশুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাঁচাতে পারায় খুশি পরিবার। শিশুটির বাবা সুবীর দাস পেশায় অটোচালক। তিনি জানান, জেলা হাসপাতালে উন্নত এই পরিকাঠামো না থাকলে শিশু সন্তানটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।
হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মন্ডল জানিয়েছেন, এত কম ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এসএনসিইউ বিভাগের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা ধারাবাহিক চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুটিকে সুস্থ করে তুলেছেন। এটা সত্যিই এসএনসিইউ বিভাগের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে একটা বড় সাফল্য বলা যেতে পারে।