হেমতাবাদঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১৫ বছরের নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। বর্তমানে নির্যাতিতা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধৃতের নাম বীরেন্দ্রনাথ বর্মন ওরফে বীরেন। বাড়ি হেমতাবাদ থানায় নওদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের পকসো কোর্টের সরকারি আইনজীবী শেখর পাল বলেন, “মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে। বিচারক ধৃতকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের ওই নাবালিকা শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করায় পরিবারের লোকেরা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জানা যায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এরপর রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। কিশোরীকে পরিবারের লোকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন এলাকারই ব্যক্তি বীরেন্দ্রনাথ বর্মন এই দুষ্কর্ম ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার গর্ভস্থ সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। পাশাপাশি ধৃতের ক্যাপাবিলিটি টেস্ট করা হবে। এই প্রসঙ্গে ওই নাবালিকার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা, রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন। আমি চাই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”