শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: চা শিল্পের (Tea Industry) উন্নয়নে কেন্দ্রীয় শিল্পবাণিজ্যমন্ত্রক প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এবারে ওই বরাদ্দ কীভাবে খরচ করা হবে, তা টি বোর্ডের (Tea Board) তরফে সার্কুলার দিয়ে চা মহলকে জানিয়ে দেওয়া হল। টি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশন স্কিমের মাধ্যমে টি বোর্ড পাঁচটি খাতে ওই টাকা খরচ করবে। ভরতুকি, অনুদানের মতো সহযোগিতা পাওয়ার শর্ত এবং সেইসঙ্গে কীভাবে বাগানগুলিকে আবেদন করতে হবে সেটাও গাইডলাইন সহ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৫ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে নানা কারণে ধুঁকতে থাকা উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলি (Tea Garden)। টি বোর্ডের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ক্ষুদ্র চা চাষিরা দারুণভাবে উপকৃত হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিস্টা) সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘টি বোর্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত ছিল। এখন দেখার, বাস্তবে ঠিক কতটা তহবিল বরাদ্দ হয়।’
বাগানের উন্নয়ন ও চায়ের উৎকর্ষতার ক্ষেত্রে নতুন চারা রোপণ, নার্সারি তৈরি, ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ফার্মার্স প্রোডিউসার্স ক্লাব, ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন তৈরি, মিনি টি ফ্যাক্টরি চালু, চা চাষিদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উদ্ধুদ্ধ করতে পুরস্কার প্রদান, মাটি পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে আর্থিক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিল্পবাণিজ্যমন্ত্রকের বরাদ্দ তহবিল থেকে। শ্রমিক কল্যাণমূলক কাজ এবং তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চা শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র চা চাষিদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সহযোগিতা, বন্ধ চা বাগান এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বইপত্র এবং ইউনিফর্ম কেনার অনুদান, তাদের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে কৃতীদের পুরস্কার, বন্ধ চা বাগানের বিশেষভাবে সক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্তও টি বোর্ডের প্রকল্পে রয়েছে।