শিলিগুড়ি: দার্জিলিং-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার মাঝে বুধবার স্টেইট এডেড কলেজ টিচাররা উত্তরকন্যা অভিযান করলেন। ভাতা বৃদ্ধি, পিএফ এবং ইপিএফ লাগু, মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার চালু সহ দশ দফা দাবি নিয়ে এদিন স্টেইট এডেড কলেজ টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উত্তরকন্যা অভিযান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই যে অভিযান সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি রামপ্রসাদ সরকারের বক্তব্য, ‘আমাদের দাবির সমর্থনে বার বার শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু তারপরও দাবি পূরণ হয়নি। কলেজে পড়াশোনা করানোর ক্ষেত্রে আমাদের সবচাইতে বেশী কাজ করতে হয়। সেই কারনে দাবি পূরণের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই উত্তরকন্যা অভিযান করেছি।’
অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় এলাকায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানে এদিন শিক্ষকদের উত্তরকন্যা অভিযান হলেও পুলিশি তৎপরতা ছিল তুলনায় নগন্য। জলকামান কিংবা কাঁদানি গ্যাসের সেল ফাটানোর জন্য বিশেষ গাড়ি কোনও কিছুই মোতায়েন করা হয়নি। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সম্মতিক্রমে শিক্ষকদের উত্তরকন্যা অভিযান করতে দেওয়া হয়। যার পেছনে রাজ্যের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের সব কয়টি জেলা থেকেই স্টেইট এডেড কলেজ টিচার্সরা এদিন উত্তরকন্যা অভিযানের জন্য শিলিগুড়িতে এসেছিলেন। শহরের জলপাইমোড় এলাকায় তাঁরা জমায়িত হন। এরপর মিছিল করে শিক্ষকরা উত্তরকন্যার দিকে এগিয়ে যান। তিনবাত্তি মোড় এলাকায় পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। এরপর শিক্ষকদের মধ্যে থেকে পাঁচজন সদস্য উত্তরকন্যায় গিয়ে নিজেদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন থেকে স্টেইট এডেড কলেজ টিচাররা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তি, চাইল্ড কেয়ার লিভ ও এক্সট্রাঅর্ডিনারি লিভ চালু, পূর্ন সময়ের অধ্যাপকদের মতো অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার মতো দাবি জানানো আসছেন। সংগঠনের কোচবিহার জেলার জেলা সভাপতি উজ্জ্বলকুমার দে বলেন, ‘ভোটের আগে দাবি পূরণের বিষয়ে রাজ্যের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীই এই স্টেইট এডেড কলেজ টিচার্সদের নামকরণ করেছিলেন। সেইজন্য দাবি পূরণে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’ দাবি পূরণ না হলে সংগঠনের তরফে রাজ্য জুড়ে বড় আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।