চোপড়া: জলকাদা ডিঙিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হচ্ছে ছাত্রীদের। কারণ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। যার জেরে চলতি বর্ষায় চোপড়া গার্লস হাইস্কুল (Chopra Girls High School) চত্বর জল থইথই। দিনের পর দিন বৃষ্টির জমা জলে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষিকা সহ ছাত্রীরা। প্রতিদিন স্কুলের মূল গেট থেকে ক্লাসরুম অবধি জমা জল ডিঙিয়ে সবাইকে চলাফেরা করতে হচ্ছে। জমা জল থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পাশাপাশি বাড়ছে পতঙ্গবাহিত রোগ সংক্রমণের উদ্বেগ। এ ব্যাপারে কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ।
সদর চোপড়া গার্লস হাইস্কুলে সেই অর্থে নিজস্ব কোনও খেলার মাঠ নেই। সামনে যেটুকু ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে দিনের পর দিন বৃষ্টির জল জমে থাকে। পড়ুয়াদের জমা জলের উপর দিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হচ্ছে। শিক্ষিকাদের একাংশের কথায়, সারাবছর সমস্যা নেই। বর্ষা এলেই সামনের মাঠে মাসাধিককাল জল জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়। দশম শ্রেণির তনুজা খাতুন বলেন, জমা জলের উপর দিয়ে হেঁটে ক্লাসে ঢোকার আগে সবাইকে কলে পা ধুতে যেতে হয়। আরেক ছাত্রী রশিদা খাতুন বলছেন, গত বছর ভরা বর্ষায় একই সমস্যা ছিল। লাগাতার দু’দিন বৃষ্টি হলে দু’-একটি ক্লাসঘরে নিশ্চিত জল ঢুকবে।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মিলি সান্যাল জানান, সামনে অংশ উঁচু হওয়ায় নিকাশিনালা সমস্যায় অনেক দিনের। প্রতিবার বর্ষায় সমস্যা হয়। বিষয়টি পঞ্চায়েতের নজরে আনা হয়েছে। চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়ারুল রহমান অবশ্য বলেন, ‘স্কুলের সামনে নিকাশিনালা রয়েছে। কিন্তু মাঠের একাংশ নীচু থাকায় জল বের হচ্ছে না। শনিবারের মধ্যে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর চোপড়ার (Chopra) একাধিক পাড়ায় নিকাশি সমস্যা নিয়ে এবারও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পর্যাপ্ত নিকাশিনালা না থাকায় ব্লকপাড়ায় ভারী বৃষ্টিতে অনেক বাড়িতেই জল ঢুকছে। ওই পাড়ার বাসিন্দা অতুলপ্রসাদ অধিকারী বলেন, ‘এলাকায় সেভাবে নিকাশিনালা নেই। এবারও বর্ষা আসতেই অনেকেই জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।’