অভীক পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরমে নাজেহাল অবস্থা থেকে রেহাই মিলতে হাতপাখার জুড়ি মেলা ভার। তাই হাতপাখা তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির দেউলা গ্রামের শেখপাড়ায়। রাতদিন এক করে হাতপাখা তৈরি করছেন স্থানীয়রা। তবে আগের থেকে চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক পরিবারই কুটির শিল্প থেকে সরে আসছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ।
হাতপাখার সঙ্গে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিল একটা সময়। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগের প্রসার ঘটল। ক্রমশ কমতে থাকল হাতপাখার ব্যবহার। শেখ পাড়ারই বাসিন্দা হামিদুল শেখ৷ ছোট্ট বয়সেই হাতপাখা তৈরিতে হাত পাকিয়েছিলেন৷ তারপর থেকে তালপাতার পাখা তৈরি করেই জীবনধারণ করছেন। এক সময় বাবা-ঠাকুরদার হাত ধরে তিনিও পাখা তৈরি শুরু করেছিলেন। এখন তাঁর হাত ধরে এই কাজে এসেছেন তাঁর স্ত্রী সহ ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু আধুনিকযুগে ফ্যান, এসির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতপাখার ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ এছাড়াও বাজারে প্লাস্টিকের পাখাও এসে গিয়েছে৷ যা দামেও কম৷ মাত্র ১০ টাকাতেই প্লাস্টিকের পাখা পাওয়া যাচ্ছে৷ তাই প্লাস্টিকের পাখার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে৷ অথচ বাজারে তালপাতার তৈরি হাতপাখা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিকোচ্ছে৷ উত্তরোত্তর চাহিদা কমায় শিল্পীরাও এই পাখা তৈরির কাজ থেকে সরে আসছেন৷ অনেক শিল্পী অন্য কাজের দিকে ঝুঁকেছেন৷ ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। তার ওপর সরকারি সাহায্য না থাকায় কুটির শিল্পীরা শিল্পবিমুখ হয়ে পড়ছেন।