শিলিগুড়ি: তিস্তা বিপর্যয়ের জেরে বর্তমানে সিকিমে পর্যটনে সর্বনাশ হয়ে গেলেও দার্জিলিংয়ে যেন পৌষমাস। সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আসা পর্যটকরা আপাতত তা বাতিল করছেন। তাঁরাই এখন ভিড় জমাচ্ছেন দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায়। শৈলশহরের পাশাপাশি ডুয়ার্সেও এখন পর্যটকদের ঢল নেমেছে। তবে সিকিমের পাশাপাশি তিস্তা বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে কালিম্পংয়ের পর্যটনে।
বর্ষার শুরুতেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যেভাবে ধস নামতে শুরু করেছে, তাতে আগামীদিনে পরিস্থিতি কোনদিকে বাঁক নিতে চলেছে তা খানিকটা আন্দাজ করতে পারছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর এনিয়েই তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
গ্যাংটক যেতে বর্তমানে অনেক বেশি সময় লাগছে। পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অথচ দার্জিলিং শহরে পর্যটকদের ভিড় এখন এতটাই বেশি যে তিলধারণের জায়গা নেই। সেই কারণে শহরের আশপাশে থাকা হোমস্টেগুলির চাহিদা এখন গগনচুম্বী।
শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘তিস্তা নদীর উপর যেভাবে বাঁধ নির্মাণ হয়েছে, যথেচ্ছভাবে পাহাড় কেটে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে, সেই সবকিছুর প্রভাবেই দিনকে দিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়ছে। প্রত্যেক বছর এই প্রভাব বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটনশিল্প। সিকিম বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিনে বহু পর্যটককে শৈলশহরের দিকে পাঠিয়েছি।’ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের দিকেও যাচ্ছেন বলে জানান ঋত্বিক।
তিস্তার পরিস্থিতির কারণে লাভা, আলগাড়া হয়ে কালিম্পং যেতে বাড়তি সময় লাগছে। সেই কারণে পর্যটকরা কালিম্পংয়ের বদলে দার্জিলিংয়ের পথ ধরছেন। কালিম্পংয়ের ডামসাং ভ্যালিতে হোমস্টে নিয়ে লিজে চালান শিলিগুড়ির বাসিন্দা আদিত্য দে সরকার। বলছেন, ‘পর্যটকদের কয়েকটি দল দার্জিলিং যেতে চেয়েছেন। তাই হোমস্টের বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিনে এই প্রবণতা বেড়েছে। রাস্তা নিয়ে রয়েছে আতঙ্ক।’
এদিকে, বিপর্যয়ের সুযোগে গাড়িভাড়া বেড়ে গিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বড় চারচাকার গাড়ি নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, জোরথাং হয়ে গ্যাংটক যাওয়ার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আট থেকে দশ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সময়ও লাগছে দ্বিগুণ। অনেক চালক আবার তিস্তাবাজার হয়ে গ্যাংটক নিয়ে যাচ্ছেন। তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই পিছপা হচ্ছেন।
শনিবার কয়েকজন চালক তিস্তাবাজার যেতে আট হাজার টাকা পর্যন্ত গাড়িভাড়া দাবি করেছেন। শিলিগুড়ি জংশনে গাড়ির চালক সঞ্জয় ছেত্রীর কথায়, ‘দার্জিলিং হয়ে গ্যাংটক যেতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। যার প্রধান কারণ জোড়বাংলো থেকে যানজট। বাড়তি টাকা নেওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। গ্যাংটকে পর্যটকরা সেভাবে যাচ্ছেন না। তার চেয়ে দার্জিলিং যাওয়ার প্রবণতা বেশি।’ একই কথা জানিয়েছেন আরেক গাড়ির চালক বাচ্চু আহমেদ। তাঁর কথায়, ‘পাহাড়ে বিপর্যয় হলেই গাড়িভাড়া বাড়ে। পরিস্থিতি জটিল হলে ভাড়া আরও বাড়বে।’
গাজোল: কয়েকদিন ধরে দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে চলছিল বিরোধ। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ছোটখাটো হাতাহাতির…
হরিশ্চন্দ্রপুর: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকছে নাবালকদের অ্যাকাউন্টে। হরিশ্চন্দ্রপুরের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন অভিযোগ সামনে…
শিলিগুড়ি: ভাগ্নের পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মামার বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে পুরনিগমের ২৮…
ফুলবাড়ি: নদীতে তলিয়ে যাওয়া যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাতে এসে স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হলেন ক্যুইক রেসপন্স…
কালিয়াগঞ্জঃ এক অবিবাহিত ভাগ্নির প্রেমে পাগল পাড়াতুতো বিবাহিত মামা। এমন প্রেমে সারা না দেওয়ায় ক্ষোভে…
নাগরাকাটা: আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সবকটি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে থাকলেও একমাত্র অক্সিজেন নাগরাকাটা। অন্যদিকে লোকসভার…
This website uses cookies.