সানি সরকার, শিলিগুড়ি: বৃহস্পতিবারের ছবিটা বদলায়নি শুক্রবার সাতসকালেও। তিস্তাবাজারে জাতীয় সড়ক ছুঁয়ে তিস্তার (Teesta) জল ছুটেছে অনায়াসে। পলিতে ঢাকা পড়েছে পিচের চাদর। নদীর দু’পারে থাকা বাড়িঘরের ভেতর জল ঢুকে একাকার কাণ্ড। দুপুরে বৃষ্টি একটু কমলে জলস্তরও নামতে শুরু করে। কিন্তু তারপর হঠাৎ করে একাধিকবার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার সাক্ষী থেকেছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
এদিন তিস্তাবাজার থেকে কিছু বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি স্কুলবাড়িকে চিহ্নিত করে সেখানে ত্রাণশিবির খোলার পরিকল্পনা করে পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়েছে। চমকডাঙ্গি, লালটংবস্তিগুলির বাড়ি থেকে অবশ্য জল নেমেছে। গজলডোবার তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে আতঙ্কমুক্ত হতে পারছেন না বলে জানান লালটংবস্তির জিতেন শৈব্য।
এদিকে, গজলডোবার জল ছাড়ায় চিন্তা বেড়েছে ময়নাগুড়ির চ্যাংমারি, চাপাডাঙ্গার মতো এলাকার বাসিন্দাদের। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির এতটুকুও উন্নতি হয়নি।
মুষলধারে নয়, বরং এদিন সারাদিনই বৃষ্টি হয়েছে ঝিরঝিরে। কিন্তু তাতেই তোলপাড় তিস্তা। যেভাবে উথালপাতাল হয়ে বইছে নদীটি, তাতে যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। উত্তর সিকিম এবং কালিম্পংয়ে (Kalimpong) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় নতুন করে তিস্তা ত্রাস হয়ে উঠতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। তবে প্রশাসন এবার আগে থেকেই সতর্ক।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এদিন কালিম্পংয়ের জেলা শাসকের নির্দেশে চিত্রেতে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরই তিস্তাবাজারের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কালিম্পং-১’এর বিডিও সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘কত বাড়ি খতিগ্রস্ত হয়েছে, তার খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। ত্রাণশিবিরের জন্য কিছু স্কুলবাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।’
জেলা শাসক বালাসুব্রহ্মণিয়ান টি’র কথায়, ‘প্রবল বর্ষণের জেরে বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিস্তাবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তরই কাজ করছে।’
এদিন তিস্তাবাজার এলাকা পরিদর্শন করেন কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার শ্রীহরি পান্ডে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কিছু এলাকাও দেখেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘এদিন জাতীয় সড়কটি দিয়ে শুধু ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বড় গাড়িগুলিকে গরুবাথান-আলগাড়া দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু ব্যাপকভাবে পেশক রোডটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই দার্জিলিং-কালিম্পং রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকছে।’ ২৭ মাইল এবং মেল্লিতে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
নতুন করে সেভাবে এদিন ভূমিধসের কবলে পড়েনি উত্তর সিকিম। তবে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাহাড়ি রাজ্যটি। বরং নতুন করে প্রবল বর্ষণ হলে পরিস্থিতির অবনতি যে ঘটবে, তা আন্দাজ করতে পেরে এদিন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, পুনর্গঠনের কাজ কীভাবে সম্ভব, নতুন করে বৃষ্টি হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সমস্ত বিষয় নিয়েই এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির বিরতি ছাড়া যে পর্যটক উদ্ধার এবং পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত দপ্তর কাজ করছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। রাস্তা তৈরি, বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল পরিষেবা চালু করাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
কিশনগঞ্জঃ বিহারে নেশার বিরুদ্ধে পথে নামল সাংবাদিকরা। শনিবার কিশনগঞ্জের ঠাকুরগঞ্জের পত্রকার যুব মঞ্চের সদস্যরা সুবসম্প্রদায়কে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পর এবার রাজকোট বিমানবন্দরে (Rajkot airport) বিপর্যয়। ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে…
খড়িবাড়ি: ফ্রিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ মল প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত জমিতে সরকারি সাইনবোর্ড লাগাতে এসে…
গাজোল: দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি মামলায় শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে(Arvind Kejriwal) ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠাল…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশিত হল সুরসম্রাজ্ঞী আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle) জীবনী। নাম ‘স্বরস্বামিনী আশা’।…
This website uses cookies.